• facebook
  • twitter
Monday, 4 August, 2025

ধর্মকে কলুষিত করেছেন কার্তিক মহারাজ: কুণাল-চন্দ্রিমা

পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সহবাস, জোর করে গর্ভপাত করানো এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক শিক্ষিকা।

পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সহবাস, জোর করে গর্ভপাত করানো এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষিকা। কসবাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠতেই এবার কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কুণাল বলেন, ‘রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কসবাকাণ্ডের তদন্ত সঠিক পথেই এগোচ্ছে।’ বিজেপির হাতিয়ার, কসবার ধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা মনোজিৎ মিশ্র।

পাল্টা জবাবে কুণাল বলেন, ‘তৃণমূল একমাত্র দল যে অপরাধের প্রতি জিরো টলারেন্সের কথা বলে। বিচার চাইতেও হয়নি, তার আগেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। এসব জানোয়ারদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। কিন্তু রাম-বামের থেকে জ্ঞান শুনব না। উন্নাও, হাথরাস, মণিপুরের জবাব দিক বিজেপি। বামেদের কথা ছেড়েই দিলাম!’ এরপরই কার্তিক মহারাজের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল বলেন, ‘কার্তিক মহারাজ কাদের আশ্রিত? কেন গ্রেপ্তার হননি তিনি? ধর্মকে কলুষিত করেছেন! কার্তিক মহারাজ এসব করার সাহস পেয়েছেন বিজেপির মদতে।’ এরই মাঝে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ব্যর্থতা মেনে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন। তাঁর এই অদ্ভুত দাবিতে কটাক্ষের হাসি হেসে চন্দ্রিমা বলেন, ‘তিনি বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন। তাহলে পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ কীসের? বিজেপির তদন্তকারী দল একমাত্র বাংলাতেই আসতে পারে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুরে যাওয়ার সৎ সাহস তাদের নেই।’

বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় অবশ্যম্ভাবী! সেটা আন্দাজ করেই বাংলায় ঘুরপথে এনআরসি-র চেষ্টা বিজেপির। নির্বাচন কমিশনের নতুন ভোটার তালিকার নিয়ম নিয়ে ফের সরব হলেন চন্দ্রিমা-কুণাল। কমিশনের নতুন ‘ডিক্লারেশন ফর্ম’ তুলে চন্দ্রিমার বক্তব্য, ‘১৯৮৭ সালকেই কেন প্রাধান্য দেওয়া হল? কারণ ওই সময়ে অধিকাংশের বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র নেই!  তাহলে কি এটা ঘুরপথে এনআরসি-র ইঙ্গিত? বিহার বাহানা, টার্গেট বাংলাই। নিরপেক্ষতার অভাব হলে তৃণমূল পথে নামবে। কারণ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনেই ভারতবাসীর ভোটাধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে।’ কুণালের সংযোজন, ‘বিজেপির অন্দরের সূত্রই বলছে, আগামী নির্বাচনে বিজেপির চাকা ৪৮-এ থমকে যাবে। ২৫০-এর বেশি আসন নিয়ে চতুর্থবার তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে। তাই বিজেপির এই কৌশল বাংলার উপর খাটবে না, বাংলাও ঝুঁকবে না।’