যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠানের বিপর্যয়ের কারণে ছ’টি পৃথক সংস্থার প্রতিনিধিকে তলব করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। তাঁদের মধ্যে মেসির অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তের সংস্থার কর্মকর্তারও রয়েছেন বলে খবর। মঙ্গলবার থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা। এঁরা প্রত্যেকেই শনিবারের অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাব জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
অনুষ্ঠানে জল ও ঠান্ডা পানীয় সরবরাহ থেকে টিকি বিতরণের দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধিদেও তলব করেছে পুলিশ। টিকিট সরবরাহকারী সংস্থাকে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে বলেছে পুলিশ। শতদ্রুর সংস্থার কাছে যাতে টাকা না পৌঁছোয়, তাো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার থানায় এই সংস্থাগুলির প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আয়োজনে তাঁদের ভূমিকা কী ছিল, তাঁদের তরফে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হবে।
Advertisement
এই ঘটনার তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটিতে আছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীরা। রবিবার যুবভারতীর ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন তাঁরা। নমুনা সংগ্রহ করেছেন। হয়েছে ভিডিয়োগ্রাফি। দীর্ঘ ক্ষণ স্টেডিয়ামের ভিতরে বৈঠক করেছে তদন্ত কমিটি। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি রায় জানান, তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে। কমিটির রিপোর্টে তাঁদের অনুসন্ধানের ফলাফল বিশদে উল্লেখ থাকবে।
Advertisement
মেসির সফর ঘিরে আয়োজকদের পরিকল্পনার অভাব ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কখন কী হবে, মেসি কখন আসবেন, কী করবেন, হাঁটবেন না দাঁড়াবেন, কেউ কিছুই জানতেন না। প্রশাসনের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়নি। এই ধরনের ‘মেগা ইভেন্ট’-এ সাধারণত প্রতি মিনিটের কার্যক্রমের সূচি তৈরি করা থাকে। টিকিটের পিছন দিকেও লেখা থাকে কখন কী হবে। এ ক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি বলে অভিযোগ। আগের দিন যুবভারতীতে কোনও মহড়াও হয়নি। পৃথক সংস্থাকে পৃথক পৃথক দায়িত্ব দিয়েছিলেন শতদ্রু। তাদের কারও সঙ্গে কারও কোনও যোগাযোগ ছিল না।
Advertisement



