মাইটোকন্ড্রিয়াল ত্রুটিগুলি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের বিকাশের সঙ্গে যুক্ত। এই ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে বা তাঁদের অগ্ন্যাশয় দ্বারা উৎপাদিত ইনসুলিন ব্যবহার করতে অক্ষম হন।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ইনসুলিন উৎপাদনকারী অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলিতে অস্বাভাবিক মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, যেগুলি শক্তি উৎপাদন করতে অক্ষম। যদিও এই গবেষণা ব্যাখ্যা করতে পারেনি যে কেন কোষগুলি এইভাবে আচরণ করে।
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা, ইঁদুর ব্যবহার করে দেখিয়েছেন যে, অকার্যকর মাইটোকন্ড্রিয়া এমন একটি প্রতিক্রিয়া ট্রিগার করে যা এই কোষগুলির পরিপক্কতা এবং কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
Advertisement
‘আমরা সঠিক মাইটোকন্ড্রিয়াল ফাংশন বজায় রাখার জন্য কোন পথগুলি গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ধারণ করতে চেয়েছিলাম’, বলেছেন এমিলি এম ওয়াকার, অভ্যন্তরীণ মেডিসিনের গবেষণা সহকারী অধ্যাপক এবং গবেষণার মুখ্য লেখক।
Advertisement
দলটি পরীক্ষামূলকভাবে মাইটোকন্ড্রিয়াল ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয় তিনটি উপাদানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ডিএনএ, ক্ষতিগ্রস্ত মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি পথ।
ওয়াকার বলেন, ‘তিনটি ক্ষেত্রেই, ঠিক একই স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া চালু করা হয়েছিল, যার ফলে অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলি অপরিণত হয়ে পড়ে, পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়। আমাদের ফলাফল দেখায় যে, মাইটোকন্ড্রিয়া নিউক্লিয়াসে সংকেত পাঠাতে পারে এবং কোষের ক্রিয়াকলাপ পরিবর্তন করতে পারে।’ গবেষকরা মানব অগ্ন্যাশয়ের আইলেট কোষেও তাঁদের অনুসন্ধানগুলি প্রয়োগ করেছেন।
গবেষণায় বোঝা গেছে, অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলির মাইটোকন্ড্রিয়া অকেজো হওয়া মানে, তা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের পথ প্রশস্ত করে। গবেষক দলটি অকেজো কোষের পথ বিচ্ছিন্ন করার কাজ করছে এবং আশা করছে যে, ডায়াবেটিস রোগীদের কোষের নমুনায় এর ফলাফল স্পষ্টভাবে পাওয়া যাবে।
Advertisement



