• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

পাগড়ি হিজাবের সমতুল্য নয় বলল সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর — কর্নাটকের স্কুল এবং কলেজগুলিতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্ক তাতে একপ্রকার ইতি টানল দেশের শীর্ষ আদালত। হিজাব বিতর্কের শুনানি নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পাগড়ি হিজাবের সমতুল্য নয়। এটি ধর্মীয় পোশাকও নয়। হিজাবের সঙ্গে এর তুলনা করা যাবে না। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার একটি বেঞ্চ হিজাব মামলায়

দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর — কর্নাটকের স্কুল এবং কলেজগুলিতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা নিয়ে যে বিতর্ক তাতে একপ্রকার ইতি টানল দেশের শীর্ষ আদালত। হিজাব বিতর্কের শুনানি নিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পাগড়ি হিজাবের সমতুল্য নয়। এটি ধর্মীয় পোশাকও নয়। হিজাবের সঙ্গে এর তুলনা করা যাবে না।

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত এবং সুধাংশু ধুলিয়ার একটি বেঞ্চ হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩টি আবেদনের শুনানি শুরু করেছেন। কর্ণাটক হাইকোর্ট গত ১৫ মার্চের রায়ে রাজ্যের স্কুল এবং কলেজগুলিতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছিল।

আবেদনকারীদের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান শুনানিতে পাগড়ির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আদালতের একটি ড্রেস কোড আছে। তারপরও বিচারপতি, আইনজীবীরা অনেকেই পাগড়ি পরেন। ধাওয়ানের বক্তব্য ছিল, ইউনিফর্ম বা ড্রেস কোডের ঊর্ধ্বে হল পোশাকের ধর্মীয় বিধান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে একজন বিচারপতি ছিলেন যিনি তিলক এবং পাগড়ি পরতেন। ২ নং কোর্টে একটি ছবি আছে যেখানে বিচারককে পাগড়ি পরা দেখানো হয়েছে।

সরকার যে ড্রেস কোড নির্ধারণ করেছে ছাত্রীদের সেটি অনুসরণ করা উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হিজাব পরা ইসলামের একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন। সংবিধানে নাগরিকদের ইউনিফর্ম নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারকে দেওয়া হয়নি। কেউ যদি ইউনিফর্মের উপর অতিরিক্ত কিছু পরেন তবে তা ইউনিফর্মকে উপেক্ষা করা বলা যাবে না।

এ বিষয়ে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত বলেন, পাগড়ি হিজাবের সমতুল নয়। এটি ধর্মীয় পোশাকের অংশ নয়। হিজাবের সঙ্গে পাগড়ির তুলনা করা যায় না। এটি রাজকীয় পোশাকের অংশ হিসাবে এসেছে।  হিজাব পরা ধর্মীয় বিধানের বাধ্যতামূলক অভ্যাস বলে বিবেচিত হবে কি না, সে প্রশ্ন হতে পারে। এই প্রশ্নেরও পর্যালোচনা জরুরি যে, সরকার মহিলাদের পোশাক কোড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কিনা।

অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কেএম নটরাজ বলেন, বিতর্কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কিত। এ নিয়ে আদালত তাঁকে প্রশ্নও করেছে, কোনও ছাত্রী যদি হিজাব পরে তাহলে স্কুলে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে কী করে? নটরাজ বলেন, ‘আমার ধর্মীয় অনুশীলন বা ধর্মীয় অধিকারের নামে কেউ তো স্কুলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ পারে না। আদালত আবার আগামীকাল মামলাটি শুনবে।