• facebook
  • twitter
Sunday, 4 May, 2025

‘যোগ্য’ তালিকায় ঢুকল চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময়ের নাম

এর আগে যে তালিকা কমিশনের তরফে জেলায় জেলায় ডিআইদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল, তাতে তাঁর নাম ছিল না। এই নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

চাকরিহারাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের নাম ঢুকল স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘যোগ্য’ তালিকায়। এর আগে যে তালিকা কমিশনের তরফে জেলায় জেলায় ডিআইদের দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল, তাতে তাঁর নাম ছিল না। এই নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এসএসসির তরফে জানানো হয়, সার্ভার আপডেট না থাকার কারণে সমস্যা হয়েছে। দ্রুত ভুল শুধরে নেওয়া হবে। সেই মতো সোমবার চিন্ময়ের নাম যোগ্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নিজের সোশাল সাইটে চিন্ময় লিখেছেন, ‘আন-টেন্টেড যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম ভুলবশত ছিল না, তাঁদের নাম আসতে শুরু করেছে। আমার নাম আছে। স্যালারি সাবমিট হচ্ছে।’ চিন্ময় ছাড়াও প্রায় ৫০০ চাকরিহারার নাম যোগ্য তালিকায় ঢুকেছে।

সপ্তাহখানেক আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ‘অযোগ্য নয়’ এমন শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে জেলায় জেলায় ডিআই দপ্তরে পাঠানো হয়। সেই তালিকায় রাখা হয় ১৫ হাজার ৪০৩ জনকে। ওই তালিকায় ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন চাকরিহারাদের একাংশ। আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময় মণ্ডলের নামও সেই তালিকায় ছিল না। এরপর যোগ্যদের নাম সংগ্রহ করে এসএসসিকে জমা দেন চাকরিহারারা।

যোগ্য বলে দাবি করা চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের পরও হয়তো কেউ চাকরি করেননি, তাঁর নামও চলে এসেছে তালিকায়। অযোগ্য হিসেবে পরিচিত হয়েছেন, তাঁদের নামও চলে এসেছে। আবার যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। অনেকে স্কুল পরিবর্তন করেছিলেন, তাঁদের নামও বাদ গিয়েছে।

কমিশন স্বীকার করে নেয়, ভুল হয়েছে। ২০১৮ সালের পর থেকে তাদের সার্ভার আপডেট করা হয়নি। অনেকের চাকরিতে যোগ দেওয়ার তথ্য তাই কমিশন পায়নি। ওই তালিকা সংশোধন করে আবার ডিআই দপ্তরে পাঠানো হবে জানিয়েছিল কমিশন। সেই মতো তালিকা সংশোধন করে ফের ডিআই দপ্তরে পাঠাল কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই তালিকায় নাম থাকা শিক্ষকেরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন।

চিন্ময়ের কসবার ডিআইয়ের আওতাধীন একটি স্কুলে প্রথম যোগদান করেন। পরে কসবা থেকে ট্রান্সফার নিয়ে ব্যারাকপুর চলে যান চিন্ময়। যোগ্য তালিকায় নাম ওঠার পর চিন্ময় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘পুরোটাই এসএসসির ভুল। তাদের সার্ভারে অনেক কিছুই আপডেট ছিল না। অনেকের নামই বাদ গিয়েছিল। সেই ভুল সংশোধন করা হয়েছে। তাতেই আমি-সহ আরও প্রায় ৫০০ জনের নাম ঢুকেছে। তবে আরও কয়েকজনের নাম এখনও বাদ রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬-র এসএসসির প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ‘অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত’ বা ‘দাগি’ নন যাঁরা, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন এবং বেতন পাবেন। নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় তাঁদের যোগ দিতে হবে। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর করা হবে না।