‘ধূসর’ বাদ হতেই ভারতকে অশান্ত করতে পারে পাকিস্তান, রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ ভারতের

Written by SNS October 29, 2022 4:12 pm

মুম্বাই, ২৯ অক্টোবর-–  কয়েকদিন আগেই জঙ্গি জননী পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে মুক্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। আর সেই তালিকা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যে পাকিস্তান সন্ত্রাস কার্যকলাপে আরও বাড়-বাড়ন্ত দেখাতে পারে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভারত। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটির বৈঠকে এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

কেন্দ্রের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার আধিকারিক সফি রিজভি শুক্রবার সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটির বৈঠকে তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে দেখিয়েছেন, গত চার বছর ধরে পাকিস্তান এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় থাকার ফলে সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের ঘটনা ক্রমশ কমেছিল। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা ও আধাসেনার শিবিরের মতো ‘হার্ড টার্গেটে’ ২০১৪ সালে ৫টি হামলা ঘটেছিল। ২০১৫-য় ঘটে ৮টি। ২০১৬-য় ১৫টি। এর পর জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ জোগানের অভিযোগে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এফএটিএফ সক্রিয় হওয়ায় ২০১৭-য় তা নেমে আসে ৮টিতে। ২০১৮-য় কমে হয় ৩।

২০১৯-এ পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটলেও তার পরের বছর উপত্যকায় একটিও ‘হার্ড টার্গেটে’ জঙ্গিরা আঘাত হানতে পারেনি। এফএটিএফ-এর পদক্ষেপের পাশাপাশি জঙ্গি হামলা কমার কারণ হিসাবে ৩৭০ ধারার বিলোপকেও চিহ্নিত করেন তিনি। চলতি ১৮-২১ অক্টোবর প্যারিসে এফএটিএফ-এর ২০৬ জনের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ‘এগমন্ট গ্রুপ অফ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ইসলামাবাদকে ফের ‘সাদা তালিকা’য় ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নয়াদিল্লির মতে এর ফলে পরিস্থিতির ফের অবনতি হতে পারে।

২০০৮ সালের নভেম্বরে সেই তাজ হোটেলে পাকিস্তান থেকে আসা লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা তিন দিন ধরে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে খুন করেছিল। শুক্রবার সেখানে হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটির বৈঠক। শুক্রবার বৈঠকের সূচনায় ২৬/১১ সন্ত্রাসের কেন্দ্রস্থলে দাঁড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানের নাম না করে হামলার চক্রীদের আড়াল করার অভিযোগ তোলেন।