পুলওয়ামা হামলার ‘জন্মদাতা’ মুনীরই নতুন পাক প্রধান 

Written by SNS November 24, 2022 4:59 pm

ইসলামাবাদ, ২৪ নভেম্বর-– বর্তমান সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার উত্তরসূরী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে লেফট্যান্ট জেনারেল আসিম মুনীরকে । প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ তাঁকে পাকিস্তানের পরবর্তী সেনা প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে এই মুনীরকে বেছে নেওয়ার পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণ পুলওয়ামা কাণ্ডে ৪০ জন ভারতীয় সিআরপিএফ জওয়ানের হত্যাকারী তিনি । ২০১৯- এ কাশ্মীরে পুলওয়ামায় আধা সেনার কনভয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী জাইশ -ই-মহম্মদের হামলার ছক মুনীরের মস্তিষ্ক প্রসূত বলে অভিযোগ। মুনীর তখন ছিলেন পাক সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান।

মুনীরকে বেছে নেওয়ার আরেকটি দ্বিতীয় কারণ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের চক্ষুশূল তিনি। ইমরান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন সরকার বিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে।

ইমরানের সঙ্গে পরবর্তী সময়ে নানা প্রশ্নে মত বিরোধ এবং সরকারি কাজে নাক গলানো, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মুনীরকে আইএসআইয়ের শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে ইমরানের চক্ষুশূল এই অফিসার।

পাকিস্তানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী পদে নতুন মুখ নিয়ে চর্চাকেও অনেক সময় ছাপিয়ে যায় নয়া সেনাপ্রধানের নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা। এবার সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয় বর্তমান সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ শেষ হয়ে আসায়। তিন বছর বাড়তি চাকরি করার পর এবার অবসরের সময় আসন্ন। তাঁর জায়গায় নয়া সেনাপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা সেনা ছাউনি ছাপিয়ে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তিনটি নাম আলোচনায় ছিল। বিরোধী নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতিমধ্যে দাবি তুলেছেন, সেনা প্রধানকে পাকাপাকি নিয়োগ করা হোক সাধারণ নির্বাচনের পর। আপাতত অস্থায়ীভাব কোনও অফিসাররে বসানো হোক। ইমরানের আশঙ্কা ছিল তাঁর অপছন্দের অফিসারকেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সেনা প্রধান করার মতলব করছেন। বাস্তবে হলও তাই। আজ পাক সরকারের মুখপাত্র মুনীরের নাম ঘোষণা করেন।

তিনি এখন সেনা সদরের দায়িত্বে আছেন। ইমরানের সময় প্রথমে ছিলেন পাক সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধান। 

পাক সেনাপ্রধান বাছাইয়ে বরাবর ভারত বিরোধী সংশাপত্র বাড়তি ভূমিকা নিয়ে থাকে। তবে আশ্চর্যের হল এবার এমন দু’জন বরিষ্ঠ সেনাকর্তার নাম সেনাপ্রধান হিসাবে বিবেচনায় আছে যাঁরা ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বিরোধী চুক্তি সম্পাদনে সেনা ছাউনি থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন। এই দুই অফিসার হলেন, লেফট্যান্ট জেনারেল শাহির শাম্বাদ মির্জা এবং লেফট্যান্ট জেনারেল কে আব্বাস। তবে ভারত এবং ইমরান দুই প্রশ্নেই কট্টর বিরোধী অবস্থানের কারণে মুনীর এগিয়ে ছিলেন।