• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

শিল্পীর নবজন্ম

ভবিষ্যদবাণী করিলাম বিপ্লবের এবং একাধিক সাম্রাজ্যের অবসানের, ভবিষ্যদবাণী করিলাম জার্মান সাম্রাজ্য ধ্বংসের। ‘জারদের দিন একদিন আসিবে।

ফাইল চিত্র

রম্যাঁ রলাঁ

পূর্ব প্রকাশিতর পর

Advertisement

যদি এই আত্মবলিদানের লক্ষ্য (অন্তত মুষ্টিমেয় বুদ্ধিজীবীশ্রেণীর পক্ষে) এতখানি পবিত্র না হই, তবেহ ক্ষমতা ও জনমতের নিয়ন্ত্রণকারীদের হাতে তাহাদের এমন ভীষণভাবে আহত হওয়াটা আরো শোচনীয় ব্যাপার হইত। আর তারপর, হাসিমুখে যাহারা শহীদ হইতে গেল তাহাদের পক্ষ সমর্থন করিয়া আমি তাহাদের হত্যাকারীদের (জ্ঞানেই হৌক কি অজ্ঞানেই হৌক) বিরুদ্ধে অভিযোগবাণী উচ্চারণ করিলাম। এই হত্যাকারীদের মধ্যে ছিল বক্তা, চিন্তাবীর, গির্জার নায়কগণ ও একাধিক গভর্ণমেন্ট। ইহার ফলেই তাহাদের সমস্ত আক্রোশ আমার উপর আসিয়া পড়ে: পাপাত্মারা নিজেদের চিনিতে পারে, বুঝিতে পারে তাহারা আক্রান্ত হইয়াছে।

Advertisement

আমি আর কি করিতে পারিতাম? সঙ্গিহীন, সম্পদহীন সে দুর্দিনে একজন কতটুকু কি করিতে পারিত? বাঁধ ভাঙ্গিয়া ইউরোপ তখন পরিপ্লাবিত হইয়া গিয়াছে, আমার প্রবন্ধে আমি ইউরোপের ধ্বংসের ভবিষ্যদবাণী করিলাম, ভবিষ্যদবাণী করিলাম বিপ্লবের এবং একাধিক সাম্রাজ্যের অবসানের, ভবিষ্যদবাণী করিলাম জার্মান সাম্রাজ্য ধ্বংসের। ‘জারদের দিন একদিন আসিবে।’

তখন আমার একমাত্র আশা রহিল মুষ্টিমেয় স্বাধীন চিন্তাজীবীদের একত্রিত করিবার। ভাবিলাম অন্তত চিন্তার স্বাধীনতাকে রক্ষা করিয়া যুদ্ধকে যথাসম্ভব অমানুষিক পরিণতির হাত হইতে রক্ষা করা যাইবে। যুদ্ধ এবং যাহা কিছু মানবিক— এই দুইয়ের মিলন সাধন যে অসম্ভব তাহা তখনও বুঝিতে আমার বাকী ছিল। ২২শে-২৩শে সেপ্টেম্বর জুর্নাল দ্য জেনেভ পত্রিকায় যুদ্ধশান্তির আবেদন জানাইয়া আমার যে রচনা প্রকাশিত হয়, সংযত ভাষায় লিখিত বলিয়া উহার কোনো ফল ফলিল না:

(ক্রমশ)

Advertisement