শান্তনু রায়
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এনডিএ ক্ষমতায় ফিরে আসায় পাটলিপুত্রের তখত আরও পাঁচ বছরের জন্য নীতিশকুমারেরই দখলে থাকল। এই ফলাফল বলছে বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ৮৯ আসন পেয়ে বিজেপি উঠে আসায় ক্ষমতার ভরকেন্দ্রেরও কিঞ্চিৎ পরিবর্তন হতে পারে। মনে রাখতে হবে ২০২৫-এ যে দুটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে দুটিতেই বিজেপি সফল।
Advertisement
২০ তারিখ পাটনার গান্ধী ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর মন্ত্রীসভার গুরত্বপূর্ণ সদস্যদের এবং এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দশম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতিশকুমারই। সাফল্যের নিরিখে তাঁর দল দ্বিতীয় স্থানে (৮৫টি আসন) থাকলেও। কারণ তাঁকে সামনে রেখেই এনডিএ জোট এসআইআর পরবর্তী উত্তপ্ত বিহারের নির্বাচনী রণে ইণ্ডিয়া জোটের সঙ্গে টক্কর দিয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে, একমাস ধরে রাহুল-তেজস্বী মিলে ভোটার অধিকার পদযাত্রা করলেও নির্বাচনে এনডিএর এই বিপুল জয়ে মহাগোঠবন্ধনের এবারও ক্ষমতায় আসা হল না। বোঝা যাচ্ছে সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনী যুদ্ধে দলীয় ব্যর্থতার সব দায় এড়াতে নির্বাচন কমিশনের মুণ্ডপাত করতে একটা হাত পকেটে ঢুকিয়ে নাটকীয়ভাবে মাষ্টারমশায়ের মত ব্ল্যাকবোর্ড প্রোজেকশনের মাধ্যমে ‘ভোটচুরি’র আখ্যান নির্মাণের যতই চেষ্টা রাহুল গান্ধী কিংবা ইণ্ডিয়া জোটের অন্যরা করুন না কেন, সাধারণের মনে তা রেখাপাত করেনি।
ফলত, গত নির্বাচনের তুলনায় এই নির্বাচনে মহাগোঠবন্ধনের ভোটপ্রাপ্তির হার শতাংশের হিসেবে (প্রায় ৩৮%) মোটামুটি একই বা অতি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও এনডিএ’র প্রায় ১০% ভোটবৃদ্ধি ঘটায় (৪৬.৬%) ইণ্ডি জোট ঝড়ে উড়ে গেছে। এনডিএ’ই বিপুল জনাদেশ নিয়ে পুনরায় সরকার গঠন করতে সফল হয়েছে।
তবে এবারের নির্বাচনী ফলাফলের মধ্যে লুকিয়ে আছে অবশ্য অনেক চমকপ্রদ তথ্য। প্রথমত ১০১টি আসনে লড়ে ২০%-এর মত ভোট পেয়েও ৮৯ আসনে জয়লাভ করে বিজেপি প্রথমস্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে লালুপ্রসাদের আরজেডি লালু-পুত্র তেজস্বীর নেতৃত্বে আসনে লড়ে ২৩% ভোট পেয়েও মাত্র ২৫টি আসনে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। একক দল হিসেবে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্তির হারটুকুই আরজেডি’র সান্ত্বনা। আবার ১৯%-এর সামান্য কিছু বেশি ভোট পেয়ে ১০১টি আসনে লড়ে জেডিইউ’র ৮৫টি আসনে সাফল্য নীতিশকুমারকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছে।
অন্যদিকে, ইণ্ডিয়া জোটে আরজেডি ২৫টি আসন রক্ষা করতে পারলেও একসময়ে একনাগাড়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস দলের ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৬টি আসন। ৬১টি আসনে লড়ে মাত্র ৬টি আসনে জয়ের শোচনীয় ফলাফলের (ভোট ৫%) প্রেক্ষিতে এই দলটির হয়ত পারিবারিক উত্তরাধিকারের অহংকার ত্যাগ করে নতুন করে আত্মসমীক্ষার সময় এসেছে আজকের ভারতবর্ষের রুঢ় বাস্তবকে স্বীকার করে এই কথাটি স্মরণ করে যে চালাকির দ্বারা মহৎ কার্য সাধিত হয় না। কংগ্রেস সবসময় বড়দাদাসুলভ মনোভাবে বেকায়দায় না পড়লে কোয়ালিশনে পরাম্মুখ, সাধারণত জোট রাজনীতিতে স্বচ্ছন্দ নয়।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস দলের অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে দলের রাজনৈতিক অভিমুখ নিয়ে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর এই নির্বাচনী ফলাফলের প্রেক্ষিতে তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে না ডাকা নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে এক টুইটে বলেছেন। ‘এই পরাজয় হতাশাজনক, যার গভীরভাবে মূল্যায়ন করা উচিত। তাঁর অভিযোগ কংগ্রেস বড্ড বেশি বামপন্থার দিকে ঝুঁকছে। বিপর্যস্ত কংগ্রেসে চলছে কাটাছেঁড়া। প্রশ্নবিদ্ধ ভোটের দুমাস আগে থেকে ভোট-ময়দানে অনুপস্থিত রাহুলের দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণ। বস্তুত রাহুলের রাজনৈতিক পরিপক্কতা এবং রাজনীতিতে একনিষ্ঠতা এখনও প্রশ্নাতীত নয়।
প্রসঙ্গত, তত্ত্বগতভাবে তীব্র বিজেপি বিরোধী অতিবামপন্থী দল সিপিআইএম (লিবারেশন)-এরও আসন কমে দুই হয়েছে। এতে সংসদীয় রাজনীতিতে এই ‘বামপন্থা’র, যেখানে নিছক দলীয় সুবিধাবাদী লক্ষ্যে কখনও মতাদর্শগত (যদি থাকে) সরব ‘ফ্যাসিস্ট’দের বিরুদ্ধে, আবার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দলের নিত্যদিন চূড়ান্ত আগ্রাসী আধিপত্যবাদী চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ দেখেও শুধু চুপ করে থাকা নয়, তাদের সঙ্গে জোটেও থাকা যায় তার ভবিষ্যত নিয়ে খুব আশাবাদী হওয়া হয়ত যায় না।
কারও কারও মতে অবশ্য বিহারে আসন ভাগ বাঁটোয়ারা মসৃণ না হওয়া ও বিজেপিকে ঠেকাতে গিয়ে আরজেডি’র বিহারের রাজনীতিতে বিশেষ প্রভাব না থাকা ভিআইপি দলের মুকেশ সাহনির নাম উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষনায় মুসলিম সমাজ অংশত বিরূপ হওয়া জোটের সাফল্যের কাঁটা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভোটপ্রাপ্তির হার ১০% বৃদ্ধি পেলেও আসনসংখ্যার নিরিখে বিপুল সংখ্যক আম আদমির মন জয় করে এনডিএ পুনরায় ক্ষমতায়। আবার ফলাফলে প্রতীয়মান যে যতই বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজন বা মেরুকরনের অভিযোগ উঠুক না কেন জাতপাতভিত্তিক রাজনীতির অঙ্গন বিহারেও এবারে ভোটদাতাদের মধ্যে মেরুকরন স্পষ্ট নয়। গড়ে বিহারে ১৮%-এর মত মুসলিম ভোট হলেও দেখা যাচ্ছে যেসব কেন্দ্রে সংখ্যালঘু নির্বাচকের হার আরও বেশি সেখানেও সাধারণ মহিলাদের মতো মুসলিম মহিলারাও উজাড় করে ভোট দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে, হয়তো রাজ্য সরকারের তরফে মহিলাদের হাতে দশ হাজার টাকা করে পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও অনেক কেন্দ্রীয় জনমোহিনী প্রকল্পের কারণে এনডিএ জোটকে। তবে এই ফলাফলের সুযোগে ইণ্ডিয়া জোটের নিয়ন্ত্রণ পরোক্ষে নিজেদের হাতে নেওয়ার জন্য তৎপর এ রাজ্যের তৃণমূল নির্বাচনে মহাজোটের ভরাডুবির জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে।
এই নির্বাচনের ফলাফল বামপন্থীদের শোচনীয় অবস্থাও আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এসআইআর নিয়ে ধুমায়িত ক্ষোভকে উসকে এই ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে আপাত ঐক্যে তারা আবার গা গরম করে চেয়েছে এই সুযোগে সাধারণ শত্রু শাসকদলকে জোর ধাক্কা দিতে। তবে তীব্র এসআইআর বিরোধী, বলা ভাল সর্বতোভাবে বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়েও তারা যে মানুষের মনে খুব দাগ কাটতে পেরেছে, তা নয়।
আবার নীতিশকুমারের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি লালু-জামানার ‘জঙ্গলরাজ’ দুঃসহ স্মৃতি উসকে দেওয়া প্রচারে অর্জিত এই বিশাল সাফল্যে ‘বিভাজন’ বনাম উন্নয়নের লড়াইয়ের তত্ত্ব কিংবা সিআইআর, সিএএ ও এনআরসি-বিরোধী প্রচার অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল। একে শুধু ‘স্থিতিশীলতার’ জয় আখ্যা দেওয়া কেবল এনডিএ-র সাফল্যকে লঘু করা নয় চতুরভাবে একটি পরিবারতান্ত্রিক দলের অপরিপক্ক নেতার মিথ্যা অভিযোগে আস্ফালন ব্যর্থতা ঢাকার প্রচেষ্টাও।
অন্যদিকে, মহাগোটবন্ধনের পক্ষ থেকে এই পরাজয়ের জন্য বিজেপির সাথে নির্বাচন কমিশনের অশুভ ‘আঁতাত’-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হচ্ছে, যা আদৌ কারণ হতে পারে না নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ নিয়ে বিরোধীদের যতই আপত্তি থাক।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল গান্ধীর লাগাতার আক্রমনের তীব্র সমালোচনা করে সম্প্রতি এক খোলা চিঠিতে দেশের ২৭২ জন বিশিষ্টজনেরা যাঁদের মধ্যে আছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, কুটনীতিক এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন— ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ রাজনৈতিক হতাশাকে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্কটের আড়ালে রাখার প্রচেষ্টা মাত্র।
এনডিএ-র এই দুর্দান্ত ফলাফলে বঙ্গীয় বিজেপি দারুনভাবে উজ্জীবিত আর কয়েক মাস পরে এ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনের প্রেক্ষিতে। কিন্তু এই ফলাফল বিজেপি’র কাছেও এক শিক্ষা নেওয়ার পাঠ হতে পারে, যথার্থ আত্মসমীক্ষারও। তবে নির্বাচনী ফলাফলে ভোটবাক্সে দলের সাফল্যের পেছনে অমিত শাহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করতে হয়।
তবে অনেকেরই স্মরণে আছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনেও প্রচার সত্ত্বেও জয় বিজেপির অধরাই থেকে গিয়েছিল। তখন অনেকে বিজেপির এমন ফলাফলে এনআরসি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিক্রিয়া বলেও অনুমান করেছিলেন। যদিও দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনে আপকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করতে সফল হয় বিজেপি।
একথা অস্বীকার করা যাবে না, বিহারের এ ফলাফল কেবল ইতিবাচক ভোটের প্রকাশ। সামগ্রিক উন্নয়ন ও মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে সশক্তিকরণ প্রকল্পের সাফল্যের সার্থক প্রচারে মুগ্ধ সাধারণ নির্বাচকমন্ডলীর বিপুল সমর্থন ভোটের বাক্সে নীতিশের পক্ষে গেছে। এখানেই স্থানীয় স্তরে নাগরিক উন্নয়ন এর গুরুত্ব। মহিলাদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে বাজিমাত বলে কটাক্ষ করলেও এর নির্বাচনী রাজনীতিতে এর বাস্তব কার্যকারিতা আরও প্রমাণিত হল।
বিধানসভার নির্বাচন সাধারণত স্থানীয় ইস্যুর ভিত্তিতেই হয়। সেক্ষেত্রে লোকসভার নির্বাচনের মত জাতীয় ইস্যু সেখানে তেমন গুরুত্ব পায় না। লোকসভা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া দলও অব্যবহিত আগে পরের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে সম্পূর্ন ভিন্ন ফল যে করে তার বহু নজির আছে। সেজন্যই প্রতিরক্ষা পররাষ্ট্র সংক্রান্ত ইস্যু বা দেশরক্ষার উন্মাদনা— সাধারণভাবে প্রতিফলিত হয় না বিধানসভার নির্বাচনের সময় ভোটবাক্সে। তবে অপারেশন সিঁদুরের মত ঘটনার প্রভাব হয়ত থেকে যায়। উল্লেখ্য যে ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও জোট হিসেবে এনডিএ সফল হওয়ায় সরকার গঠনের পর অনুষ্ঠিত ঝাড়খণ্ড ও দিল্লি দুটি রাজ্যবিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল কিন্তু পরস্পর ভিন্নমুখী হয়েছিল।
মনে রাখতে হবে, লোকসভার নির্বাচনে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৮টি আসনই পেয়েছিল এনডিএ, শতাংশের হিসেবে ভোটপ্রাপ্তির হারও ছিল অধিক। কিন্তু যেকথা বলার তা হল অনেকে বিশেষত বঙ্গীয় বিজেপি একাংশ এই ফলাফলে উল্লসিত হয়ে ভাবছেন যে বিহারের ফলাফলের প্রভাবেই এ রাজ্যেও বিজেপি ক্ষমতায় এল বলে। ব্যাপারটি কিন্তু এতো সহজ নয়-আদৌ তেমনভাবে নাও ঘটতে নাও পারে। এরাজ্যে সাফল্য পেতে হলে বিজেপিকে যেমন মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংগঠনকে বাড়াতে হবে শক্তিশালী করতে হবে গোষ্ঠীকোন্দল দূরে সরিয়ে, তেমনই বিজেপিকে বাঙালিরও পার্টি হয়ে উঠতে হবে— বাংলার সংস্কৃতি ও মননকে মর্যাদা দিয়ে। সর্বভারতীয় দল হিসেবে নিশ্চয়ই দলের অন্যান্য রাজ্যের নেতারা প্রচারে আসবেন, কিন্তু দিল্লির বা অন্য রাজ্যের নেতাদের উপর অতিনির্ভরতা কিন্তু আখেরে তেমন কাজ দেয় না এবং উত্তরভারতীয় সংস্কৃতি দিয়ে বাঙালির মন পাওয়া যাবে না, তা অবশ্যই বুঝতে হবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বকে।একই সঙ্গে অনুধাবন করতে হবে তন্নিষ্ঠভাবে বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাসের ধারাটিকে।
বিজেপি নেতৃত্বকে এও বুঝতে হবে যে সাধারনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি সহ জনসাধারণের বিবিধ দৈনন্দিন সমস্যাদূরীকরণ, কর্মসংস্থান এবং জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তার প্রতিও মনোনিবেশ না করলে কেবলমাত্র ধর্মীয় আবেগ এমনকী জাতীয়তাবাদ এবং দেশাত্মবোধের মহান আবেগও বারবার নির্বাচনী সাফল্য আনতে সক্ষম নাও হতে পারে।
এসআইআর পরবর্তী বিহারই প্রথম রাজ্য যেখানকার বিধানসভার এ নির্বাচনী ফলাফল হয়ত ভারতীয় রাজনীতির এক বিশেষ সদর্থক অভিমুখ-সুশাসন-জনমুখী স্বচ্ছ প্রশাসনের পক্ষে ম্যাণ্ডেট আবার অপশাসন, স্বৈরাচার ও দুর্নীতির প্রতি এক চেতাবনিও বটে। রাজনীতির এ নব্যনির্মিত আখ্যান এরাজ্যে কতখানি সফল হবে বা আদৌ হবে কিনা তা অনেক যদি ও কিন্তুর উপর নির্ভরশীল এবং তার জন্য আগামী কয়েকমাস নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement



