শোভাবাজার রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী নাটমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম বর্ষের ‘সৌরপ্রভা সংগীত সম্মেলন’। প্রজাতন্ত্র দিবসে সান্ধ্যকালীন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যেটির পরিকল্পনা করেছেন কত্থক নৃত্যশিল্পী সুপ্রভা মুখার্জী ও সৌরপ্রভা টিম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। এরপর ছিল সুপ্রভা মুখার্জির ছাত্রীদের কত্থক নৃত্য পরিবেশনা। গুরু মধুমিতা রায়ের একক কত্থক নৃত্য উপস্থাপনা ছিল এই সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ । সংস্কৃতি মহলে পরিচিত এই গুরু ও নৃত্যশিল্পী কৃষ্ণস্তুতি “কমল নয়ন ওয়ারো শ্যাম হমারো” দিয়ে সূচনা করেন। এরপর ছিল সাড়ে দশ মাত্রার আধারে উপস্থাপনা। চলন, পরণ, পরমেলু, তেহাই, বিজলী-পরণ ইত্যাদি এবং সবশেষে অভিনয় “নয়না মোরে পরদেশী আজা বালমা” । মুগ্ধতা মাখিয়ে রাখা এই পরিবেশনে সাথ দিয়েছিলেন :- সুনন্দ মুখার্জি (সরোদ), সুবীর ঠাকুর (তবলা), কাবেরী দত্ত মজুমদার (কন্ঠ), পৌলমী বসু (বোল-পরন্ত)। কবিতা পাঠে ছিলেন বৃষ্টি ব্যানার্জি ।
গুরুর পর ছিল তাঁর শিষ্য সুপ্রভা মুখার্জীর কত্থক নৃত্য উপস্থাপনা । ত্রিতালে (বিলম্বিত) এং তারপরে দ্রুত ত্রিতাল। সবশেষে ছিল “বরষণ লাগি বদরিয়া” গানের সাথে অভিনয় পর্ব। এইপর্বে লাইভ যন্ত্রীদের পূর্ববর্তী দুজন শিল্পীর বদল ঘটে- চন্দ্রিকা দাস (বোল-পরন্ত) ও ঋতব্রত কুন্ডু (কণ্ঠ)। এই সন্ধ্যার সমাপন ঘটে ভুবনখ্যাত পন্ডিত বিশ্বমোহন ভাটের মোহনবীণার পরিবেশনে। তিনি চয়ন করেছিলেন রাগ শ্যাম কল্যাণ। প্রথামাফিক আলাপ জোড় ঝালা (সংক্ষিপ্তভাবে), তারপর ছিল গতকারি। একটি ধুন ও সমাপনীতে “বন্দে মাতরম” পরিবেশন করে আসরের ইতি ঘটান । তবলায় সহযোগিতা করেছিলেন জ্যোতির্ময় রায়চৌধুরী। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজনে করেছিল- ওঙ্কারনাথ মিশন, পরম্পরা ও সন্তুর আশ্রম।