• facebook
  • twitter
Thursday, 12 June, 2025

সৌরপ্রভা সংগীত সম্মেলন

শোভাবাজার রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী নাটমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম বর্ষের 'সৌরপ্রভা সংগীত সম্মেলন'। প্রজাতন্ত্র দিবসে সান্ধ্যকালীন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

শোভাবাজার রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী নাটমন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম বর্ষের ‘সৌরপ্রভা সংগীত সম্মেলন’। প্রজাতন্ত্র দিবসে সান্ধ্যকালীন এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যেটির পরিকল্পনা করেছেন কত্থক নৃত্যশিল্পী সুপ্রভা মুখার্জী ও সৌরপ্রভা টিম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। এরপর ছিল সুপ্রভা মুখার্জির ছাত্রীদের কত্থক নৃত্য পরিবেশনা। গুরু মধুমিতা রায়ের একক কত্থক নৃত্য উপস্থাপনা ছিল এই সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ । সংস্কৃতি মহলে পরিচিত এই গুরু ও নৃত্যশিল্পী কৃষ্ণস্তুতি “কমল নয়ন ওয়ারো শ্যাম হমারো” দিয়ে সূচনা করেন। এরপর ছিল সাড়ে দশ মাত্রার আধারে উপস্থাপনা। চলন, পরণ, পরমেলু, তেহাই, বিজলী-পরণ ইত্যাদি এবং সবশেষে অভিনয় “নয়না মোরে পরদেশী আজা বালমা” । মুগ্ধতা মাখিয়ে রাখা এই পরিবেশনে সাথ দিয়েছিলেন :- সুনন্দ মুখার্জি (সরোদ), সুবীর ঠাকুর (তবলা), কাবেরী দত্ত মজুমদার (কন্ঠ), পৌলমী বসু (বোল-পরন্ত)। কবিতা পাঠে ছিলেন বৃষ্টি ব্যানার্জি ।

গুরুর পর ছিল তাঁর শিষ্য সুপ্রভা মুখার্জীর কত্থক নৃত্য উপস্থাপনা । ত্রিতালে (বিলম্বিত) এং তারপরে দ্রুত ত্রিতাল। সবশেষে ছিল “বরষণ লাগি বদরিয়া” গানের সাথে অভিনয় পর্ব। এইপর্বে লাইভ যন্ত্রীদের পূর্ববর্তী দুজন শিল্পীর বদল ঘটে- চন্দ্রিকা দাস (বোল-পরন্ত) ও ঋতব্রত কুন্ডু (কণ্ঠ)। এই সন্ধ্যার সমাপন ঘটে ভুবনখ্যাত পন্ডিত বিশ্বমোহন ভাটের মোহনবীণার পরিবেশনে। তিনি চয়ন করেছিলেন রাগ শ্যাম কল্যাণ। প্রথামাফিক আলাপ জোড় ঝালা (সংক্ষিপ্তভাবে), তারপর ছিল গতকারি। একটি ধুন ও সমাপনীতে “বন্দে মাতরম” পরিবেশন করে আসরের ইতি ঘটান । তবলায় সহযোগিতা করেছিলেন জ্যোতির্ময় রায়চৌধুরী। যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজনে করেছিল- ওঙ্কারনাথ মিশন, পরম্পরা ও সন্তুর আশ্রম।