পাওলি দাম
আমি বরাবরই রং খেলতে ভালোবাসি। আমাদের ছোটবেলায় নানা ধরনের রং নিয়ে খেলা হতো। এখন অর্গ্যানিক রং ও আবির হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় তো এসব ছিল না। বন্ধুরা আমাকে একবার রং বলে আলকাতরা মাখিয়ে দিয়েছিল। তবে রং খেলতে গিয়ে অন্যকে ডিস্টার্ব করা উচিত না। বিশেষ করে রাস্তার কুকুরদের রং মাখানো উচিত না। শুটিংয়ের জন্য এখন তো অনেক কিছুই মেনে চলতে হয়। তবে আবির খেলাটা হবেই। অনেক সময় দোলের দিনও শুটিং পড়ে যায়। তখন শুটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার আগে সবাই মিলে আবির খেলা হয়।
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
হোলি আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। কারণ ওই দিন আমরা আমাদের বাবার জন্মদিন পালন করি। বাবার জন্মদিনটা ডেট হিসেবে আমরা মানি না। বাবার জন্ম যেহেতু হোলিতে হয়েছিল, তাই ওই দিনটাই আমরা
সেলিব্রেট করি। বাবা-মায়ের পায়ে আবির দিয়ে তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েই আমাদের হোলি খেলা শুরু হয়। রং খেলতে আমি খুবই ভালোবাসি। কিন্তু এখন আর সেই ভাবে রং খেলতে পারি না। শুটিং থাকে। ছোটবেলায় বোনেদের বলতাম আমাকে রং মাখা। আমি পছন্দ করতাম সিলভার কালার। আমার ছেলে কিন্তু খুব একটা রং মাখে না, সে শুধু আবির খেলে।
ঋতাভরী চক্রবর্তী
দোল খেলা আমার ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পছন্দের। ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে বাঁদুরে রং মাখা থেকে শুরু করে, যেভাবে প্রপার দোল খেলা হয়- আমি সেইভাবেই খেলতাম।
গত কয়েক বছর ধরেই আমার পার্টনারের সঙ্গে মুম্বাইতে দোল খেলি। আমি ওখানে যে-কমপ্লেক্সে থাকি, সেখানে বিশাল বড় করে দোল খেলা হয়। জলে ভিজে দোল খেলা যাকে বলে। তবে এবছর ভাঙা পা নিয়ে আমি কীভাবে দোল খেলব জানি না। দোলেতে আমি মুম্বাইতে থাকব। মা বলে দিয়েছে, ‘একদম হোলি খেলবে না ভাঙ্গা পা নিয়ে, তুমি সাইডে দাঁড়িয়ে হাততালি দেবে’।
সৌরভ দাস
ছোটবেলায় আমি থাকতাম বেহালার পর্ণশ্রী অঞ্চলে। আর ছোটবেলার হোলি খেলা মানেই ছিল এমন রং মাখব, আমাকে যেন চেনা না যায়। রং মেখে যদি আমাকে চেনা যায়, তাহলে কী হোলি খেললাম! এখন এসব মনে পড়লে খুব মজা লাগে। এপাড়া-ওপাড়া মিলে রং খেলা হতো। যত বাঁদুরে রং আছে সব মাখানো হতো। সকালে খেলতে বের হতাম আর সন্ধ্যের পরে বাড়ি ফিরতাম।
আর এখন ওই দিন শুটিং না থাকলেও আগে পরে শুটিং থাকে। তাই রং যদি লেগে থাকে, তাহলে তো সেটা খুব মুশকিল হয়ে যাবে। তাই আবির দিয়েই এখন রং খেলা হয়।
রণজয় বিষ্ণু
হোলিতে আমার জীবনে একটি ঘটনা ঘটে, তারপর থেকে আমি সত্যিই রং খেলাটাকে খুব ভয় পাই। ছোটবেলায় আমিও রং খেলতাম। একবার দোলে আমার বন্ধুরা নানা রঙের সঙ্গে একটা কালো রং মিশিয়ে আমাকে মাখায়। যেমন হোলিতে লোকে রং মাখিয়ে মজা করে তেমনি। আমার মুখটা পুরো পুড়ে যায়। আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাই। মুখটা যত ধুচ্ছি তত দেখছি জ্বালা করছে। আমাকে তখন ডাক্তার দেখাতে হয়।
আমার মুখ থেকে পোড়া চামড়াগুলো উঠে গিয়ে সারতে অনেক সময় লেগেছিল। সেই থেকে আমি দোল খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। গত কয়েক বছর হল এখন অর্গ্যানিক আবির খেলি।
সোহম মজুমদার
দোল খেলা নিয়ে আমার ছোটবেলার নানা স্মৃতি রয়েছে। আমার মামারবাড়ি ছিল টিটাগড়ে। একবার দোল খেলতে ওখানে গেছি। আমার মামা গোবর জলের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে রং গুলে নিয়ে আমাদের গায়ে ঢেলে দিয়েছিল। সে এক বিচ্ছিরি অবস্থা হয়েছিল আমাদের। সেই বিকট স্মৃতি আমি ভুলব না কখনও।
এখনও রং খেলি। তবে সেটা শ্যুটিংয়ের ডেট দেখে তবে। শ্যুটিং থাকলে রং খেলা সেভাবে হয় না। রং সহজে উঠতে চায় না,তখন সমস্যা হয়। এবারে যেমন শ্যুটিং আছে দোলের পরেই। তাই আবির দিয়েই দোল খেলব ঠিক করেছি।