‘নায়ক’ ছবিটা নতুন করে হলে রিলিজ করছে এটা ভেবে কেমন লাগছে?
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ‘নায়ক’ এমনই একটা ছবি, প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে এটা আধুনিক লাগবে। কারণ ছবিটার যে-বিষয়বস্তু অর্থাৎ জার্নি অফ আ স্টার, এটার একটা অন্য গভীরতা আছে। একটা অদ্ভূত স্তর যেখানে তাঁর অন্তরের কথাগুলো বেরিয়ে আসে। ‘নায়ক’ এখনও খুবই কন্টেম্পোরারি। এমন একটা আইকনিক ফিল্ম বড় পর্দায় আসছে, আমি নিজে এটা দেখতে দারুণভাবে উৎসাহী। এই ধরনের ছবি বড় পর্দায় দেখা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা! আসলে সত্যজিৎ রায়ের যে-কোনও ছবিই বড় পর্দায় এলে সেটা দারুণ এক্সাইটমেন্টের ব্যাপার হবে বলেই আমার বিশ্বাস।
মহানায়কের পর জনপ্রিয়তার নিরিখে আমরা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেই চিনি। একজন চূড়ান্ত সফল নায়ক হিসেবে এই ছবিটার সঙ্গে কি নিজেকে রিলেট করতে পারেন ?
গত তিরিশ বছর ধরে আমি একটা কথাই বলে এসেছি যে, মহানায়ক বাংলা ছবিতে একজনই ছিলেন। ‘মহানায়ক’ হওয়া যায় না আর। ওঁদের দেখেই তো আমরা বড়ো হয়েছি, শিখেছি। সেটা মহানায়ক উত্তম কুমারই হোক বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। আমার ‘অটোগ্রাফ’ ছবিটা ‘নায়ক’ ছবির রিমেক ছিল না, বরং ‘নায়ক’-এর প্রতি একটা ট্রিবিউট ছিল। একজন নায়কের যন্ত্রণা, দুঃখ, কষ্টের বহিঃপ্রকাশ ছিল ‘অটোগ্রাফ’-এ। মানুষ ‘অটোগ্রাফ’কে মনে রেখেছেন কারণ ওটা নিজের মতো করে স্বতন্ত্র ছিল।
আরেকটা জায়গায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। আমি ‘দুই পৃথিবী’ ছবিতে উত্তমজেঠুর কিশোর বয়সের চরিত্রটায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এ সুযোগ সবার হয় না।