রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করােনা রুখুন

কোভিড-১৯ এর আক্রমণের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তথা ভাইটাল ফোর্সকে উজ্জীবিত করাতে ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ শক্তি’ সঠিক ওষুধ।রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়।

Written by ডা.পার্থসারথি মল্লিক Kolkata | December 23, 2020 6:28 pm

প্রতীকী ছবি (ছবি: SNS Web)

প্রথমেই বলি করােনা ভাইরাস বা কোভিড -১৯ আক্রমণজনিত অসুখের নিরাময়ের ওষুধ ‘আর্সেনিক অ্যালবাম ৩০’ নয়। হােমিওপ্যাথিক ওষুধ সরাসরি কোনও ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া বা কোনও অসুখের জীবাণুকে মেরে অসুখ সারাতে পারে না। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা সকলেই রােগ প্রতিরােধের এক অদৃশ্য শক্তি দ্বারা পরিচালিত। এরই নাম রােগ প্রতিরােধের ক্ষমতা বা ইমিউনিটি, হােমিওপ্যাথি শাস্ত্রমতে এই অদৃশ্য চালিকাশক্তিকেই ভাইটাল ফোর্স নামে অভিহিত করা হয়েছে।

Derangement of Viral Force causes disease অর্থাৎ এই চালিকা শক্তির শক্তির বিচ্যুতি ঘটলেই অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। হােমিওপ্যাথি সদৃশ মতের লক্ষণ ভিত্তিক চিকিত্সা পদ্ধতি অর্থাৎ রােগীর রােগ লক্ষণ, শারীরিক ও মানসিক লক্ষণের সঙ্গে যে ওষুধের সদৃশ পাওয়া যাবে তাই সে ক্ষেত্রের ওষুধ। মডার্ন মেডিসিনের সঙ্গে হােমিওপ্যাথির পার্থক্য বা হােমিওপ্যাথির স্বাতন্ত্র এখানেই। প্রত্যেক রােগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র, চারিত্রিক লক্ষণ ও মানসিক লক্ষণ আলাদা। তাই একই অসুখের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা। তা হলে এখন Covid-১৯ এর ক্ষেত্রে সবার জন্য ‘আসেনিকাম অ্যালবাম ৩০’ কেন?

এই রকম মহামারি ও অতিমারির ক্ষেত্রে সার্বিক রােগ লক্ষণের ডেটা তৈরি করে যে ওষুধের সঙ্গে সাদৃশ্য হবে তাই সবার ওষুধ নির্বাচিত হবে, জেনাস এপিডেমিকাস । বিশ্বজুড়ে এই কোভিড -১৯ আক্রমণের রােগ লক্ষণের সঙ্গে অর্সেনিকাম অ্যালবামের লক্ষণের (Drug powering এর সময়ে পাওয়া) অধিকাংশই মিলে গেছে ও ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক এই আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ কে কোভিড-১৯ এর মােকাবিলায় নির্বাচিত করেছেন ইমিউনিটিকে উজ্জীবিত করতে। আবার ড্রাগ প্রুভিং- এর সময় দেখা গেছে সব প্রভাবের ক্ষেত্রে আর্সেনিকাম অ্যালবাম ইমিউনিটিকে বাড়িয়েছে।

তাই কোভিড-১৯ এর আক্রমণের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি তথা ভাইটাল ফোর্সকে উজ্জীবিত করাতে ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ শক্তি’ সঠিক ওষুধ। পরে নিজ নিজ স্বাতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত ওষুধ সেবা। ওষুধের মাত্রা আয়ুশ মন্ত্রক দ্বারা । নির্বাচিত পর পর ৩ দিন সকালে ১ মাত্রা, ১ মাস পরে ফের নিতে হবে। কিন্তু রােগীর নিজস্ব চিকিৎসক পরিস্থিতি বুঝে ওষুধের মাত্রা বদল করতে পারেন। রোগ প্রতিরােধে হােমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি মুখে মাস্ক পরে বাইরে যাওয়া, অকারণে বাইরে না বেরােনাে, মানুষে মানুষে দূরত্ব বজায় রাখা ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। করােনা মুক্ত থাকুন, সুস্থ থাকুন।