• facebook
  • twitter
Saturday, 19 July, 2025

দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি, শুক্র-শনি বন্ধ সরকারি স্কুল

শুক্র এবং শনি রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

উত্তরের জেলাগুলিতে আগাম বর্ষা ঢুকে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার দেখা নেই। আপাতত গরমে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। পশ্চিমের জেলাগুলির অবস্থা শোচনীয়। রীতিমতো তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। প্রবল গরমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা। এহেন অবস্থায় শুক্র এবং শনিবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্কুল বন্ধের কথা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, ‘কিছু জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি রয়েছে বলে জানা গেছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৩.০৬.২৫ এবং ১৪.০৬.২৫ তারিখে রাজ্যের (পার্বত্য এলাকা ব্যতীত) সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিখন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে। সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও সংসদ কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

তীব্র গরমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। অনেকেই সকালে স্কুল শুরু করার পরামর্শ দেন। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৪ জুন থেকে পূর্ব ও মধ্য ভারত ও তার সংলগ্ন এলাকায় মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১৬ জুনের আগে বর্ষা আসার পরিবেশ তৈরি হবে না। অর্থাৎ, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই বাংলায় প্রবেশ করে যাবে বর্ষা। সম্ভবত সেই কারণেই মর্নিং স্কুল চালু না করে দু’দিনের জন্য স্কুলছুটির ঘোষণা করা হল।

প্রায় মাসখানেকের গরমের ছুটির পর ২ জুন থেকে রাজ্যের স্কুলগুলি খুলেছে। কিন্তু এই ক’দিনেই তীব্র গরমে নাজেহাল হচ্ছিল পড়ুয়ারা। সপ্তাহখানেক আগে গরমের কারণে একাধিক জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সকালে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় সংসদ (ডিপিএসসি)। সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত পঠনপাঠন চলবে বলে জানানো হয়। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। পরে অবশ্য সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।