বাংলায় হাজার কোটি টাকার রঙের কারখানা বিড়লাদের, প্রায় দু’হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

বাংলায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রঙের কারখানা গড়বার জন্য গত ৪ অক্টোবর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ফরচুন ৫০০ তালিকাভুক্ত আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী।

Written by SNS Kolkata | October 22, 2021 3:24 pm

আদিত্য বিড়লা গ্রুপ (Photo: IANS)

তাজপুর বন্দরের পরে খড়গপুরে রং কারখানা। বাংলায় শিল্প বিনিয়োগের দরজা ক্রমশ প্রশস্ত হচ্ছে। বাংলায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে রঙের কারখানা গড়বার জন্য গত ৪ অক্টোবর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ফরচুন ৫০০ তালিকাভুক্ত আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিড়লা শিল্পগোষ্ঠীর কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট সুনীল বাজাজ, মুখ্য অপারেটিং অফিসার অজিত কুমার প্রমুখ। আদিত্য বিড়লা গ্রুপ খড়্গপুরে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৮০ একর জমিতে প্রস্তাবিত এই মূল রং কারখানার পাশাপাশি সহযোগী উৎপাদন কেন্দ্রও স্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।

এই প্রকল্পটির জন্য আনুমানিক ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। প্রস্তাবিত কারখানাটি আগামী দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যায়। শুধুমাত্র রঙের কারখানা থেকেই ৬০০ মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে।

এছাড়া পরোক্ষভাবে আরও দেড় হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে জানিয়েছে বিড়লা গ্রুপ। অর্থাৎ মোট ২১০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে বিড়লা গোষ্ঠীর এই কারখানাকে ঘিরে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলি যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই বিষয়ে আড়াই মাস আগে পানাগড়ের সরকারি কর্মসূচিতেই আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই মমতা বলেছিলেন, তার তৃতীয় সরকার শিল্পায়নের লক্ষ্যেই চলবে।

কোভিডের প্রতাপ কমে গেলে আবার বাণিজ্য সম্মেলন হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসকে সত্যি প্রমাণিত করে পুজো মিটতেই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়ে দিল বিড়লা গোষ্ঠী।

ইতিমধ্যেই তাজপুরের ডিপ সী পোর্টের জন্য বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। একুশের ভোটের ইত্তেহারেও শিল্পায়নকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। এদিকে বিরোধীরা প্রায়ই অভিযোগ করে, দশ বছরে তৃণমূল নেত্রী বহু পুজো প্যান্ডেলের ফিতে কেটেছেন।

কিন্তু একটাও কারখানার ফিতে কাটেননি। বহু টাকা ব্যয় করে বাণিজ্য সম্মেলনও অশ্বডিম্ব প্রসব করে বলে সমালোচনা করে থাকেন বিরোধীরা।

কিন্তু লক্ষ্মীপুজোর ঠিক পরের দিনই বিড়লা গোষ্ঠীর হাত ধরে রাজ্যের লক্ষ্মীলাভের খবর বিরোধীদের মুখ বন্ধ করবে বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।