• facebook
  • twitter
Monday, 16 June, 2025

‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পান, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না: সুপ্রিম কোর্ট

আদালতের এই নির্দেশের ফলে ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। তাঁদেরও অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

ফাইল চিত্র

‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ করে যাঁরা চাকরি পান, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বুধবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেবি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে তারা আর হস্তক্ষেপ করবে না। আদালতের এই নির্দেশের ফলে ‘র‍্যাঙ্ক জাম্প’ চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। অর্থাৎ, তাঁদেরও অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। শীর্ষ আদালতের এহেন নির্দেশের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে চাকরিহারাদের মধ্যে।

৩১ মে-র মধ্যে এসএসসিকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কয়েকদিনের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার আগে আদালতের এই রায় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর ফলে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। আদালত জানিয়েছে, নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ‘অযোগ্য’ (দাগি বা টেন্টেড) হিসাবে চিহ্নিত চাকরিহারাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।

চাকরিহারাদের একাংশ জানিয়েছেন, ‘অযোগ্য’দের তালিকায় রয়েছেন মূলত তিন ধরনের চাকরিহারা। অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। আবার একদল প্যানেল বহির্ভূত ভাবে বা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরে চাকরি পেয়েছেন। আর একদল চাকরিপ্রার্থী ‘র‌্যাঙ্ক’-এ পিছিয়ে থেকেও চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরা চাকরি পাওয়ার ফলে ক্রমতালিকায় উপরে থাকা প্রার্থীরা, যাঁরা পরীক্ষায় তুলনামূলক ভাল ফল করেছিলেন, তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। এই ধরনের চাকরিহারারাই পরীক্ষায় বসতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই শ্রেণির চাকরিহারাদের যুক্তি, পরীক্ষায় দিয়েই তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। প্যানেলেও তাঁদের নাম ছিল। তাই নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়াতেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ তাঁদের দেওয়া হোক। আদালত অবশ্য বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাতে তারা আর হস্তক্ষেপ করবে না।

এসএসসির দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা মামলা করেছিলেন, সেই মূল মামলাকারীদের তরফে বুধবার সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি নেওয়াও দুর্নীতি। তাঁরাও দুর্নীতির অংশ। তাই আদালত জানিয়েছে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা যোগ দিতে পারবেন না।’