২০১৬ সালের এসএলএসটি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ডাকা কালীঘাট অভিযান ঘিরে ময়দান চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। প্যানেলের যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করার দাবিতে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ময়দান চত্বরে জমায়েত শুরু করেন প্রতিবাদী শিক্ষক–শিক্ষিকারা। মিছিল করে তাঁদের কালীঘাটে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেই মিছিল পুলিশ আটকে দেয়। মিছিলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারপরই কয়েকজন প্রতিবাদীকে আটক করা হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে ষড়যন্ত্র করে তাঁদের প্যানেল বাতিল করা হয়েছে। এই বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এই কারণে কালীঘাট অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। এরপর পুলিশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করেছে। অপরদিকে পুলিশের দাবি, এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই ময়দান চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হতেই একে একে আটক করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের।
বৃহস্পতিবার ময়দান মেট্রোর এক নম্বর গেটের সামনে জমায়েত করে এসএলএসটি শিক্ষকরা। পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও একদল শিক্ষক মিডলটন স্ট্রিট থেকে জীবনদীপ বিল্ডিংয়ের সামনে থেকে এসে মিছিল শুরু করে। এরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ এসএলএসটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এখনও সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এখানে তো যোগ্য প্রার্থীদের কোনও দোষ নেই। তাহলে তাঁরা কেন ভুক্তভোগী হবেন? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। গোটা বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তাঁরা।