সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, সেই কারণে যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হোক। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে এই আর্জি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তর।
গত ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আরও কয়েকমাস সময়ের প্রয়োজন। এই অবস্থায় যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের অন্তত ২০২৬-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হোক। অর্থাত নিয়োগ প্রক্রিয়া যতদিন না সম্পন্ন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।
Advertisement
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আসন্ন। এর পাশাপাশি, পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা রয়েছে, রয়েছে খাতা দেখার চাপ। এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীর প্রয়োজন। রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যদি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে কর্মরত যোগ্যদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
Advertisement
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে কমিশনকে গত ৮ ডিসেম্বর একটি চিঠি দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে ২০২৬-এর শিক্ষাবর্ষ আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ২০২৬-এর ২৬ মার্চ কমিশনের তরফে নবম-দশম যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, তার চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। ৩০ মার্চ প্রথম পর্বের কাউন্সেলিং। আগামী ৩১-এ মে-র মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
Advertisement



