পাহাড়ে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা জিটিএ-র অধীনে থাকা স্কুলগুলিতে বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপ দাবি করে মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাটি চলে। এমনকি অভিযোগ ওঠে কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই একতরফাভাবে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলে। এরপরেই মামলার তদন্তের দায়ভার দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে। আবার আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এরপরেও আদালতের তরফে নির্দেশ অনুযায়ী গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডির উপর দেওয়া হয়।
Advertisement
Advertisement
পাশাপাশি বুধবার আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জিটিএ-র বৈঠকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি সকল শিক্ষকের নিয়মিতকরণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজ্য সরকার স্পষ্ট আপত্তি জানায়। জিটিএ-র তরফে দাবি করা হয়েছিল তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু আদালতে বিচারপতি জিটিএ-র এই দাবিকে খারিজ করে দেয়। এরপরেই আদালত আবেদনকারীদের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে জানায়, ওই এক সময়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়োগ হয়েছে। তাই অসম্ভব ছিল একথার কোনও যুক্তি নেই।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। চাকরি হারান বহু শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা। এরপরে ফের পাহাড়ের শতাধিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট।
Advertisement



