বাংলায় সন্দেহভাজনদের কারও শরীরেই মিলল না ওমিক্রন

পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কেউ আক্রান্ত নন। যে তিনজনের আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ।

Written by SNS Malda | December 17, 2021 4:08 pm

প্রতীকী ছবি (Photo:SNS)

পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কেউ আক্রান্ত নন। যে তিনজনের আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ। মালদহের যে ৭ বছরের শিশু ও মিত্র পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে হায়দরবাদ থেকে রাজ্যে প্রবেশ করায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এছাড়া শিশুর মা- বাবা ও পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষার ফলাফলও নেগেটিভ। অন্যদিকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে আসা বাংলাদেশি নাগরিকের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল এসেছে এদিন।

জানা গিয়েছে, তিনিও ওমিক্রন আক্রান্ত নন। ফলে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে ওমিক্রনের কোনও কেস নেই। গত ১০ তারিখ আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে দমদম বিমানবন্দরে নামে বছর সাতের শিশু মা বাবার সঙ্গে মালদহের কালিয়াচকে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। হায়দরাবাদ থেকে ওমিক্রন স্ট্রেন নিয়ে ফিরেছে সে।

এই সন্দেহে তাকে হাসপাতালে ভরতি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। তবে একদিন যেতে না যেতেই শিশুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টেও ওমিক্রনের হদিশ মেলেনি।

পরিবারের বাকি সদস্যদের কোভিড -১৯ রিপোর্টও ‘নেগেটিভ’ এমনটাই জানিয়েছেন মালদহের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক জানিয়েছেন, প্রত্যেকেরই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে।

আপাতত ওই শিশু, তার দিদি ও বাবা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ পেলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, পরবর্তীতে আরও কিছুদিন বাড়িতেই আইসোলেশন থাকবেন ওই পরিবার। এরপর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফেও মালদহের ওই নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টকে মান্যতা দেওয়া হয় ।

জানানো হয়, যে শিশু হায়দরাবাদ থেকে ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যে ঢুকেছিল , সে আপাতত করোনা নেগেটিভ। তাদের পরিবারে কেউই করোনা আক্রান্ত নন। আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ সারা রাজ্যের। ওমিক্রনমুক্ত মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানা বেনিয়াগ্রামের সাত বছরের শিশু।

বুধবার এই শিশু সহ পরিবারের ৬ জনের লালারস সংগ্রহ করেছিল মালদা জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই লালারস বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয় প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।

এখন তারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকলেও, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন পেলে তাদের বাড়ি পাঠানো হবে। সেখানেই তাদের আইসোলেশনে রাখা হবে। আজ এমনটাই জানান মালদা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা পাপড়ি নায়েক।

তিনি বলেন , ‘বুধবার শিশু সহ পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ। তারা সবাই আপাতত হাসপাতালেই রয়েছে।

রাজ্যের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরে আমরা তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেব । তারা সেখানেই আইসোলেশনে থাকবে। যারা যারা এই পরিবারের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের চিহ্নিত করে নমুনা সংগ্রহ করা চলছে। সেই নমুনা সংগ্রহের পরে বোঝা যাবে তারা আক্রান্ত কিনা।’