• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

গঙ্গাসাগর মেলায় নতুন আকর্ষণ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রেপ্লিকা

প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মানস ভূঁইয়া

সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া শনিবার গঙ্গাসাগরে এসে জানিয়ে দেন যে চলতি মাসেই গঙ্গাসাগর মেলার জন্য সেচ দপ্তরের সব কাজ শেষ করতে হবে। এদিন তিনি মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের অগ্রগতি, সমুদ্রসৈকতে অস্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ এবং স্নানের ঘাটগুলির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। মেলার সময় বিপুল ভিড় সামলাতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব কাজ দ্রুত শেষ করার উপর জোর দেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী ও সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, মহকুমা ও ব্লক প্রশাসন, এবং সুন্দরবন জেলা পুলিশের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এবারের গঙ্গাসাগর মেলার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রেপ্লিকা। প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলায় বাংলার বিভিন্ন বিখ্যাত মন্দিরের আদলে রেপ্লিকা তৈরি করা হয়—কালীঘাট, তারাপীঠ, তারকেশ্বর, দক্ষিণেশ্বর থেকে মালদার জহুরা কালী মন্দির—যেগুলি পুণ্যার্থীদের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই ধারায় ২০২৬ সালের মেলায় প্রধান আকর্ষণ হিসেবে জগন্নাথ দেবের এই রেপ্লিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। প্রতি বছরের মতো এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঙ্গাসাগর মেলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসার কথা রয়েছে, আর মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই এই রেপ্লিকা সম্পূর্ণ করে ফেলতে চান প্রশাসনিক কর্তারা।

Advertisement

প্রশাসনের আশা, বাংলার অন্যান্য দেবদেবীর মন্দিরের রেপ্লিকার সঙ্গে এবারের এই বিশেষ আকর্ষণও পুণ্যার্থীদের নজর কাড়বে। এদিন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া মুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে কচুবেড়িয়া জেটি, বেণুবন, সমুদ্রসৈকতের ১ নম্বর ঘাট ও সংযোগ রাস্তা-সহ বিভিন্ন ঘাটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। তিনি মুড়িগঙ্গা নদী ও বেণুবনের ড্রেজিংয়ের অগ্রগতি পরীক্ষা করেন এবং শংকরাচার্য আশ্রমের কাছে মাটি ভরাটের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের।

Advertisement

পরে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী, সেচ দপ্তর এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠকে চলতি মাসের মধ্যেই সব প্রস্তুতির কাজ শেষ করার নির্দেশ পুনরায় দেন সেচমন্ত্রী। আলোচনা হয় যে, বিগত বছরের তুলনায় এবছর সেচ দপ্তর আরও দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সাগরমেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চেন্নাই আইআইটি এবং নেদারল্যান্ডের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রসৈকত পরিদর্শন করেছে গঙ্গাসাগর রক্ষার প্রকল্পের অংশ হিসেবে। বৈঠকে ওই বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন সেচমন্ত্রী।

Advertisement