বিভাজনের রাজনীতিতে মদত দিচ্ছেন মমতা, মন্তব্য নাড্ডার

উত্তরবঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে কার্যত হুঙ্কার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মমতা

Written by SNS North Bnegal | October 20, 2020 1:23 am

জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। (Photo: Twitter/@JPNadda)

সােমবার একদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশে কার্যত হুঙ্কার বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করছেন মমতা। এ দিন তিনি বলেন, মােদি সরকারের নীতি হল ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। সবার বিকাশ করতে হবে।

এর উল্টো দিক হল, সমাজকে ভেঙে দাও, বিভেদ তৈরি কর এবং ক্ষমতায় থাক। পশ্চিমবঙ্গে এটাই করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিধানসভা ভােটের আগে এ দিন শিলিগুড়িতে দলের এক সভায় যােগ দিয়ে এমন ভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে হুঙ্কার ছাড়েন। তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প থেকে রাজ্যের গরিব মানুষদের বঞ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। একমাসের মধ্যে কেন্দ্রের সব প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষ পেয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে না নেওয়ার অভিযােগ প্রায়ই তােলে রাজ্য বিজেপি। সেই কথা টেনে এনে এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, দেশের ১০ কোটি কৃষকদের জন্য চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষণ সম্মান নিধি প্রকল্প। ইতিমধ্যেই ৮ কোটি কৃষক ওই সুবিধে পেয়ে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এ রাজ্যে তা চালু হতে দেয়নি। আপনাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এপ্রিলে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন এক মাসের মধ্যে ওই সুবিধে এ রাজ্যের ৭৬ লাখ কৃষক পেয়ে যাবেন। এই প্রসঙ্গে আয়ুষ্মন ভারত প্রকল্প নিয়েও রাজ্যকে নিশানা করেন নাড্ডা। তিনি বলেন, পদ্মফুলে ভােট দিন, এপ্রিল মাসে সব সুবিধে পাবেন। পাশাপাশি করােনা পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সহায়তা প্রকল্পের কথাও বলেন বিজেপি সভাপতি।

উল্লেখ্য, বিজেপি সভাপতির এই সফর নিয়ে বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছিল, তিনি বেশ খানিকটা সময় বাংলায় ভাষণ দেবেন। সেই মর্মে ভাষণও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু খুব বেশি সময় বাংলা বলেননি বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাডা। এদিন সন্ধ্যায় বেশ কিছু সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নাড্ডা। গার্খা, রাজবংশী, যদুবংশী, আদিবাসী, মতুয়া, বাগান শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বক্তব্য শােনেন নাড্ডা। তাদের দাবিদাওয়া জেনে নিয়ে তাদের দাবিদাওয়া পূরণের আশ্বাস দিয়ে নাড়া আক্রমণের সুর চড়ান মমতার বিরুদ্ধে।