সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারত সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি করল বিএসএফ। হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই উত্তাল পরিস্থিতির সম্মুখীন বাংলাদেশ। দেশের রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের পর ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিবেশী দেশের মন কষাকষি। এমনকি দুই দেশের সীমান্তে দেখা গিয়েছে নানান সমস্যা। সেই সমস্যাকে কড়া হাতে দমন করতে এবার ভারতীয় সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ ‘অপ্স অ্যালার্ট’ (অপারেশন অ্যালার্ট) জারি করলো বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় সীমান্তে।
সীমান্তরক্ষা বাহিনীর আশঙ্কা, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বা পরে সীমান্তের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে উস্কানি আসতে পারে। সেই উস্কানিতে যাতে ভারতীয় বাসিন্দারা উত্তপ্ত না হন তাই বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের পক্ষ থেকে সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের ভাল করে বোঝানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্পেশ্যাল ডিজি রবি গান্ধী একাধিক বর্ডার আউটপোস্ট পরিদর্শন করেছেন।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে সীমান্তে কড়া নজরদারি বিএসএফের। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা বিএসএফের। কাঁটাতারহীন এলাকায় বিশেষ নজরদারি চলছে। চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ রুখতে বিএসএফের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেক সময় বাংলাদেশীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে এসে জমির ফসল নষ্ট করে দেয়। লোকসানের মুখে পড়েন ভারতীয় কৃষকেরা। তাই বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ও
ই সময়ে উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মহড়া চালানো হবে। এ ছাড়াও, সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপ্স অ্যালার্ট’ (অপারেশনস অ্যালার্ট) জারি থাকবে। সাধারণত স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় ছুটির আগে বিএসএফের তরফে এই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়।
অপারেশনস অ্যালার্টের মাধ্যমে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সব ক’টি বর্ডার আউটপোস্টকে সতর্ক করে ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে বাড়তি সতর্কতা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কয়েক দিন সীমান্ত বার বার মহড়া চালাবেন জওয়ানেরা। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিএসএফ। তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের আগে কঠোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস্ অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
