এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে। ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই ওই যুবককে পাকড়াও করে বিএসএফ। কিন্তু কী কারণে তাঁকে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকানো হচ্ছিল তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের ডাঙ্গারহাট সংলগ্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে এক যুবককে ভারতের ভূখণ্ডে ঢোকানোর চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশি। ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। বিষয়টি নজরে আসে বিএসএফের। অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানদের দিকে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তেড়ে যান বাংলাদেশের নাগরিকরা। পরে বন্দুক হাতে এক জওয়ান এগিয়ে এলে পিছু হটেন তাঁরা। যদিও মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে আটক করেছে বিএসএফ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক ভারতীয়। সেই কারণেই তাঁকে ভারতের ভূখণ্ডে পাঠানো হচ্ছে। যদিও বিএসএফের দাবি, ওই যুবক বাংলাদেশের নাগরিক। এই মতবিরোধকে কেন্দ্র করে বিএসএফ জওয়ান ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। জওয়ানদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় বাংলাদেশের নাগরিকদের। এই নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বিএসএফ ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বিএসএফ জওয়ানরা। আটক যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এক বিএসএফ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই যুবককে একজন সাধারণ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মনে করে তাড়াচ্ছিল বিএসএফ। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকরা তা নিয়ে অযথা উত্তেজনা তৈরি করার চেষ্টা করে।