• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

চোখ পাকাচ্ছে ‘মন্থা’, অন্ধ্রের ঝড়ে বাংলায় দুর্যোগ

ছট পুজো জগদ্বাত্রী পুজোতেও বাংলার একাধিক জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা।  বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় প্রাবল্য ভবাড়িয়ে আছড়ে পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশে। তবে এর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে না বাংলা। রবিবার সকাল থেকে আবহাওয়া রোদ ঝলমলে থাকলেও বিকেল হতেই কালো হয়ে এসেছিল কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী জেলার আকাশ। বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার। আগামী কয়েকদিনেও কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে অন্ধ্রের মছলিপত্তলম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কাকিনাড়ায় আছড়ে পড়বে ‘মন্থা’। 

ছট পুজো জগদ্বাত্রী পুজোতেও বাংলার একাধিক জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা।  বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

Advertisement

উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।  মৎস্যজীবীদের মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

Advertisement

অন্যান্য সব জায়গায় উৎসবের মরসুম শেষ হয়ে এলেও, চন্দননগর আর কৃষ্ণনগর সেজে উঠছিল নতুন করে। কিন্তু পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপের জেরে হুগলি, নদীয়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেরও আবহাওয়া বদলাবে। মঙ্গলবার থেকেই হাওয়া বদল। শীত আসতে এখনও বেশ কিছুদিন দেরি রয়েছে। 

Advertisement