• facebook
  • twitter
Sunday, 21 December, 2025

কুকি জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে কংগ্রেসকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

ইমফল, ২১ জুন– কুকি জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।কয়েকদিন আগেই অভিযোগ ওঠে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার মধ্যেই তিনি গোপনে কুকি জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবার সেই অভিযোগ খারিজ করে তিনি মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য নিজের পুরনো দল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। প্রসঙ্গত, বার তিনেক বিধায়কদের বিদ্রোহ সামলে মুখ্যমন্ত্রী সিংহের বীরেনের

ইমফল, ২১ জুন– কুকি জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।কয়েকদিন আগেই অভিযোগ ওঠে মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার মধ্যেই তিনি গোপনে কুকি জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বুধবার সেই অভিযোগ খারিজ করে তিনি মণিপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য নিজের পুরনো দল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন।

প্রসঙ্গত, বার তিনেক বিধায়কদের বিদ্রোহ সামলে মুখ্যমন্ত্রী সিংহের বীরেনের গদি বাঁচিয়েছেন হিমন্ত। অবশ্য ৩ মে থেকে চলা মণিপুরের অশান্তি এবং কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ থেকে সচেতন দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার একটি খবরে দাবি করা হয়, রবিবার গোপনে গুয়াহাটি এসেছিলেন সংঘর্ষবিরতিতে থাকা কুকিদের ১৭টি জঙ্গি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ কেএনও এবং আটটি কুকি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউপিএফের চার শীর্ষ নেতা। সে রাতেই তাঁদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন হিমন্ত।

Advertisement

অসম প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মীরা বোরঠাকুর গোস্বামী সম্প্রতি অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালে মণিপুরে বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সাহায্য করার কথা কুকি জঙ্গি গোষ্ঠীর এক নেতা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশি তদন্তও দাবি করেন তিনি। জবাবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বুধবার বলেন, ‘কংগ্রেস আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। সমাজমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’ তাঁর সমালোচকদের একাংশের বিরুদ্ধে মণিপুরে হিংসায় ইন্ধন দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন হিমন্ত।

Advertisement

২০১৯ সালে জঙ্গি সংগঠন ‘ইউনাইটেড কুকি লিবারেশন ফ্রন্ট’ এর নেতা এসএস হাওকিপ ২০১৯ সালে শাহকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, ভোটে বিজেপিকে সাহায্য করার জন্য হিমন্ত এবং দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রাম মাধব ২০১৭ সালে তাঁর সাহায্য চেয়েছিল। ইন্ডিয়া টুডে-তে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

প্রসঙ্গত, বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘নেডা’ জোটের মাথা হিসেবে হিমন্ত উত্তর-পূর্বকে ‘কংগ্রেসমুক্ত’ করেছেন। ২০১৭-য় মণিপুরে সংখ্যাধিক্য না থাকার পরেও তাঁর কৌশলেই গদিতে বসেছেন এন বীরেন সিংহ। 

Advertisement