পুজোর পর পশ্চিমবঙ্গে ফের হতে চলেছে বাণিজ্য সম্মেলন। শিল্পপতিরা মনে করছেন, রাজ্যে এখন শিল্পবন্ধব পরিবেশ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে শিল্প প্রকল্পে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর এ সব কারণেই বাণিজ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প সংস্থা টাটা সংসদের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। এই সংবাদ ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নিশ্চয় বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব নিয়ে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা দেখা দিয়েছে, তাহলে আবার কি টাটা কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গে শিল্প গড়তে চলেছে!
উল্লেখ্য, বামফ্রন্ট আমলে জমি-জটিলতার কারণে সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানির ন্যানো কারখানা সরিয়ে নিতে হয়েছিল। তারপর রাজনৈতিক পালাবদলের পরবর্তী সময়ে এ রাজ্যে শিল্প ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। জমিনীতি এখন অনেকটাই সরল হয়েছে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পবিষয়ক সদিচ্ছার কারণে। এখন এ রাজ্যে শিল্পের জন্য জমি এবং অন্যান্য পরিকাঠামো পেতে আর কোনও প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয় না শিল্পপতিদের। বস্তুত মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করে এই বার্তা দেশ-বিদেশের শিল্পপতিদের কাছে পৌঁছে দিতে সফল হয়েছেন। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ, কর্মীদের প্রতুলতা এ রাজ্যের অন্যতম সুবিধা। ফলে এখন অনেকেই এখানে বিনোয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
এ বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন আসতে না পারলেও তিনি তাঁর প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। পরে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিনিয়োগের বার্তাও দিয়েছিলেন। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজে এসে দেখা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান। তাঁদের একান্ত বৈঠকের মধ্যে বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই টাটা কোম্পানিকে নিয়ে এ রাজ্যে শিল্প স্থাপনের প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছে।