মনে হয়েছিল এখনো বেশ কিছুদিন হাতে রয়েছে। কিন্তু না রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট রীতিমত চিন্তায় ফেলে দেওয়ার মত ভারতের কাছে।
সম্প্রতি করোনা গোটা বিশ্বের মতোই ভারতেও বাড়িয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, অনাহার, বেকারিত্ব। সঙ্গে যেভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে ভবিষ্যৎ আতঙ্কের।
Advertisement
আর এরই মধ্যে সোমবার রাষ্ট্রসংঘে প্রকাশিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২২’ শীর্ষক রিপোর্টে যে দাবি করা হল তাতে আর মাত্র এক বছর।
Advertisement
২০২৩ সালেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, এবছরের নভেম্বর মাসেই ৮০০ কোটিতে দাঁড়াবে বিশ্বের জনসংখ্যা।
বর্তমানে ভারত এবং চিন এই দুই দেশ মিলিয়েই জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটির বেশি। রিপোর্ট বলছে, ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন চিনের থেকে অনেক বেশি।
শুধু ভারত নয়, গোটা পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি।
রাষ্ট্রসংঘের হিসাব বলছে, শুধু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ বাস করেন। আর পূর্ব এশিয়ায় বাস করেন বিশ্বের ২৬ শতাংশ মানুষ।
রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্যে উদ্বেগ বাড়বে ভারতে। খাদ্য, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান নিয়ে এমনিতেই রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে দেশকে। দিনকে দিন কমে আসছে চাষযোগ্য জমি।
ফলে জনবিস্ফোরণ যে ভয়াবহ খাদ্য সংকট ডেকে আনবে তা বলাই বাহুল্য। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, দ্রুত আর্থিক উন্নতি করলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি ভারতের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
Advertisement



