• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

মত বদল দলাই লামার, বললেন তিব্বতের সঙ্গে চীনের যোগ চাই

দলাই লামা জানালেন, তাঁকে 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' তকমা দিয়ে দেওয়া হলেও তিনি মোটেও তা নন

দলাই লামা(File Photo: IANS)

দলাই লামা জানালেন, তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ তকমা দিয়ে দেওয়া হলেও তিনি মোটেও তা নন। এমনকী তিব্বতের মানুষও চীন থেকে আলাদা হতে চান না।তাঁরা চীনের সঙ্গেই সম্মানজনক শর্ত যা কিনা দু’পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তা মেনে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চান।

ইতিহাস বলছে,১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন চতুর্দশ দলাই লামা। তারপর থেকে তিব্বতের মানুষের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার জন্য নানাভাবে আন্তর্জাতিক সহায়তা জোগাড় করার চেষ্টা করে গিয়েছেন তিনি। এ কারণে বেজিং-এর সবিশেষ রোষ নজরে পড়েছেন এই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ধর্মগুরু। কদিন আগেও দাবি করেছিলেন,তাঁর সঙ্গে এখনো ভারতে দেখা করতে আসেন বহু অবসরপ্রাপ্ত চিনা আধিকারিক, ব্যবসায়ী। তিব্বতিদের সঙ্গেও আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর হয়তো চিন নিজের পছন্দের কাউকে ‘দলাই লামা’ হিসেবে পেশ করবে, যা কিনা ধর্মীয় রীতির বিরোধী। সেই তেনজিং গ্যাটসোর মুখেই এদিন অন্য কথা।

Advertisement

নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,তিব্বতের বাসিন্দারা যে কোনও সমাধানের জন্য সবসময় প্রস্তুত রয়েছেন।একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, তিনি চীনের হাত থেকে তিব্বতের স্বাধীনতা চান না। তাঁর বয়ানে ‘১৯৭৪ সালে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম স্বাধীনতা চাইবো না, বরং দু পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় এমন সমাধানের পথ খুঁজবো।তবে তিব্বতী ধর্মগুরু ফের মনে করিয়ে দেন, তিনি চান তিব্বত ‘পুনর্মিলনের সূত্রে বাঁধা পড়ে’ যেন চিনে থাকে।তিনি মনে করেন,দু’পক্ষই নিজেদের পুরনো সংযোগসূত্র যদি ফের প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাহলে তাতে লাভ দুপক্ষেরই।চীন তিব্বতকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারে। তিব্বত নিজের জ্ঞানের ভান্ডার উজাড় করে চিনকে সমৃদ্ধ করতে পারে।

Advertisement

Advertisement