ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতীয় দলের যেভাবে অবনতি হয়ে চলেছে, তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কিন্তু এই বিষয়টিকে সেইভাবে আমল দিতে চাননি কোচ খালিদ জামিল। শনিবার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সামনে মুখোমুখি হয়েছিলেন কোচ খালিদ জামিল ও ফেডারেশনের কোচেস কমিটির অন্যতম সদস্য সাবির আলি। ভারতীয় ফুটবলের এই করুণ অবস্থার কথা প্রকাশ পেলেই কোচ খালিদ জামিল বলেন, এশিয়ান কাপের যোগ্য অর্জন পর্বের খেলায় বাংলাদেশের কাছে হারটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তবুও বলব, আগামী দিনে ভারতীয় দলের চরিত্র অনেকটাই বদলে যাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় দল। তবে সময়ের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। ধৈর্য ধরে রাখতে হবে। অবশ্যই ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি হবে। নিশ্চয়ই একদিনের মধ্যে সেই উন্নতির জায়গায় পৌঁছানো যাবে না। সেই কারণেই সবাইকে অনুরোধ করব, ভারতীয় ফুটবল দলের পাশে থাকুন এবং অনুপ্রাণিত করুন। তাই সাফল্য আসবেই।
Advertisement
ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে খেলোয়াড়দের পরিচর্যার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথাও শোনা গেল ভারতীয় দলের কোচের মুখে। একইসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের হয়ে খেলানোর যে সিদ্ধান্ত ফেডারেশন সাম্প্রতিক সময়ে নিয়েছে, তাকেও আলাদাভাবে কৃতিত্ব দিলেন তিনি। খালিদের মতে, রায়ান ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারলে দলের খেলার অনেকটাই উন্নতি হবে। তাই, যাতে আরও বেশিসংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফুটবলার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামতে পারেন, সে বিষয়টা ফেডারেশনকে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করতেও দেখা গেল তাঁকে। পাশাপাশি, স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীকে নিয়ে চলা সমস্ত জল্পনারও এদিন অবসান ঘটালেন খালিদ। জানালেন, আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়েছেন ছেত্রী। ভারতের জার্সিতে আর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামতে দেখা যাবে না। ভারতীয় ফুটবলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খালিদের বক্তব্য, যত তাড়াতাড়ি আইএসএল শুরু করা যায়, খেলোয়াড়রা উপকৃত হবেন। কারণ, খেলোয়াড়রা যত বেশী প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলবে, ততই তাদের ফিটনেসের উন্নতি ঘটবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেই এই লিগটা শুরু করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করছে। ফলে, দ্রুতই তা শুরু করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন খালিদ।
Advertisement
এদিকে, ক্লাব ও ফেডারেশনের সংঘাতে বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য কোনও ফুটবলার ছাড়তে চায়নি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। যা নিয়ে খালিদের স্পষ্ট বক্তব্য, দেশের জন্য ক্লাবগুলোর উচিত একজোট হয়ে এগিয়ে আসা। জাতীয় দলের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তাদের অবশ্যই ফুটবলার ছাড়া উচিত। প্রয়োজনে ফেডারেশন প্রত্যেক ফুটবলারের চোট-আঘাতের সমস্ত দায়িত্ব নেবে। তাই যে ফুটবলার চোটমুক্ত থাকবে, তাঁকে যেন জাতীয় দলের জন্য ছাড়া হয় বলে ক্লাবগুলিকে অনুরোধ জানান তিনি।
Advertisement



