ক্যান্সার এমন একটি শব্দ যা এড়িয়ে যাওয়াই কঠিন। ভারতে বেশিরভাগ মানুষের জীবন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এই রোগটির প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বজায় রাখতে, দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-ন্যাশনাল ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রোগ্রাম (আইসিএমআর-এনসিআরপি) অনুসারে, ভারত ২০২২ সালে ১৪.৬ লক্ষ ক্যান্সারের ঘটনা রেকর্ড করেছে এবং ২০২৫ সালে এই সংখ্যাটি ১৫.৭ লক্ষে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একটি বড় সমস্যা যা ভারতে ডাক্তারদের চিন্তিত করেছে তা হল, দেরিতে রোগ নির্ণয় যার ফলস্বরূপ, চিকিৎসার দেরিতে সূচনা।
ক্যান্সার একটি ভীতিকর শব্দ, কারণ সকলে এই ব্যবহুল চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন না। এই চিকিৎসার অভাব দেশের বড় অংশকে প্রভাবিত করে এবং পাওয়া গেলেও,ব্যয়বহুল চিকিৎসা দীর্ঘদিন ধরে চালাতে মানুষ অক্ষম হতে পারে।
Advertisement
সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ, সাউথ ইস্ট এশিয়ায় প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা বলছে, ‘দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব ভারতের মতো দেশে উচ্চ মৃত্যুর হারের একটি কারণ। বিলম্বের ফলে রোগটি বেড়ে যায়, যা পরে জটিলতা বৃদ্ধি করে। বেশিরভাগ সময়েই হয় প্রাণঘাতী। ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্রমগত স্বাস্থ্যের খারাপ অবস্থা হওয়া সাধারণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে। এর ফলে ২০২২ সালে ভারতে ৯ লক্ষেরও বেশি ক্যান্সারজনিত মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে।’
Advertisement
Advertisement



