দীপাবলির আগে দেশকে জোড়া উপহার ভারতীয় আয়ুর্বেদের চাহিদা বাড়ছে: মােদির

চতুর্থ আয়ুর্বেদ দিবসে দেশবাসীকে জোড়া উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।দেশের দুই রাজ্যে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্ধোধনে মােদি।

Written by SNS Delhi | November 14, 2020 8:50 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS/BJP)

করােনা ঠেকাতে ভারতীয় আয়ুর্বেদে ভরসা বিশ্বের। চাহিদা বাড়ছে ভারতীয় আয়ুর্বেদের। শুক্রবার চতুর্থ আয়ুর্বেদ দিবসে দেশবাসীকে জোড়া উপহার দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। দেশের দুই রাজ্যে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকেন্দ্রের উদ্ধোধন করেন মােদি। সেই সঙ্গে দেশের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিতে অতিরিক্ত মনােযােগ দেওয়ার অঙ্গীকার করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এ দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের জামনগরে আয়ুর্বেদ শিক্ষা এবং গবেষণা কে এবং রাজস্থানের জয়পুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলট, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণি, দুই রাজ্যের রাজ্যপাল এবং জনপ্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে ‘ধন্বন্তরি ত্রয়ােদশী’-কে জাতীয় আয়ুর্বেদ দিবস হিসেবে ঘােষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির নেতৃত্বাধীন সরকার। এ দিন ছিল চতুর্থ বর্ষের উদ্যাপন। সে দিনেই দেশের দুই রাজ্যে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বাধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সময় এসেছে দেশের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি এবং আয়ুর্বেদিক গবেষণায় জোর দেওয়ার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পর্যন্ত আয়ুর্বেদ গবেষণার জন্য সিদ্ধান্ত আলাদা গ্লোবাল সেন্টার তৈরি করছে।

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, গােটা বিশ্বেই এখন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির গ্রহণযােগ্যতা বাড়ছে। মােদি বলেন, এবছরই বাদল অধিবেশনে সংসদে দুটি ঐতিহাসিক হােমিওপ্যাথির জন্য আলাদা কমিশন তৈরি হয়েছে। দেশজ পদ্ধতিতে ওষুধ তৈরির জন্য আলাদা কমিশন তৈরি করা হয়েছে।

এমনকী জাতীয় শিক্ষানীতিতেও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় জোর দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে , আয়ুষ ব্যবস্থার বিপুল সম্ভাবনাকে এখনও স্বাস্থ্য পরিষেবা কাজে লাগানাে হয়নি বলে আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, ভারতের জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা মােকাবিলার জন্য যথাযথ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা। এ দিনের দুই চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনে চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থারও মানােন্নয়ন ঘটানাে হবে বলে মনে করেছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।