অনেকদিন ধরেই চলছিলো জল্পনা। এবার সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়তে চলেছে। এতদিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলে আসছিলেন বিএনপি চাইছে না বলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারছে না সরকার। কিন্তু শুক্রবার ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য তথা ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশে এবার নিষিদ্ধ হতে চলেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি অবশেষে রাজি হওয়ায় এ বিষয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এবার সরকার আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে। সব মিলিয়ে পদ্মাপাড়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে উঠেপড়ে লেগেছেন ইউনূস।
এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একে একে দেশ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি। শেখ হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করেছে বিল্পবী ছাত্ররা। এবার মুজিবকন্যার রাজনীতিতে ফেরার পথ একেবারে বন্ধ করতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ইউনূস সরকার।
উপদেষ্টা আসিফের ঘোষণার পরেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাউদ্দিন নাসিম জানিয়েছেন, একটি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে আমরা সব সময়ে মানুষের পাশে থেকেছি। বারে বারে আন্দোলনে নেমে আমরা দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে এনেছি। সেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা চক্রান্ত নতুন নয়। ইউনূস সরকার এই পথে হাঁটলে প্রমাণ হবে তারা প্রকৃতই পাকিস্তান ও আইএসআই-এর চর।’ পাশাপাশি তিনি আরো জানিয়েছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ এর উপযুক্ত জবাব দেবেন।
দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের নির্বাচন সংস্কার কমিশন অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছিল, আওয়ামীকে আদালত বা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে তারা নির্বাচনে লড়তে পারবে। ভোটযুদ্ধে নামতে হাসিনার দলের এমনিতে কোনও বাধা নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণায় ক্ষেপে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ইউনূস সরকারকে চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। তাঁদের তালে তাল মেলায় বিএনপি, জামাতও। এরপরেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশে। দিকে দিকে মুজিব ও হাসিনার সম্পত্তি ধ্বংস করা চলতে থাকে। আওয়ামির নেতা-কর্মীরাও। এই আবহে উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।
তবে শুধু ঘোষনা করাই নয়, এই বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে রাজনৈতিক দলগুলোকে একজোট করার প্রক্রিয়াও চলছে। এদিন সজীব ভূঁইয়া আরও জানিয়েছেন, দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন একজোট করার চেষ্টা চলছে। যাতে যেকোনও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সরকারের সুবিধে হয়।
এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়