শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ না হলেও শুধু এই একটি বিষয়কে ভিত্তি করে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতি টানতে রাজি নয় বাংলাদেশ। রবিবার ঢাকায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। ফলে একটি ইস্যুতে অচলাবস্থা তৈরি হলেও তিস্তা জলবণ্টন, সীমান্তে ‘বর্ডার কিলিং’ রোধসহ বাকি কূটনৈতিক স্বার্থ অটুটই থাকবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তৌহিদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা ফেরত না-এলে সম্পর্ক থেমে থাকবে— আমি তা মনে করি না। আমাদের তিস্তার জল, সীমান্ত হত্যা— এগুলি তো বজায় থাকবেই। একটির সঙ্গে অন্যটি নির্ভরশীল নয়।’ তিনি এও জানান, স্বার্থ রক্ষার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, সময়সীমা নির্দিষ্ট নয়।
Advertisement
তবে হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার অবস্থান থেকে সরে আসছে না অন্তর্বর্তী সরকার। তৌহিদের কথায়, ‘তিনি দোষী সাব্যস্ত। তাঁকে ফেরত এনে বিচার ও শাস্তি কার্যকর করা প্রয়োজন।’ তাঁর দাবি, হাসিনা-জমানার দীর্ঘ ১৫ বছরে তিস্তা ও সীমান্ত ইস্যুতে কোনও বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। তাঁর মন্তব্য ‘বাহ্যিক উষ্ণতা নয়, স্বার্থ রক্ষাই মুখ্য’।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের পর ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এরপরই তাঁকে ফেরত চেয়ে দিল্লিতে একাধিক চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা।
Advertisement



