শত্রুতা ভুলে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সমীকরণ বদলে দিল ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন আমেরিকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিল আমেরিকা। আমেরিকার পাশাপাশি রাশিয়াকে সমর্থন আরও ১৬টি দেশের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একে অপরের শত্রুদেশে পরিণত হওয়া আমেরিকা ও রাশিয়ার এই কাছাকাছি আসার ঘটনা বেনজির বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাশাপাশি এই ঘটনায় চাপ আরও বাড়ল জেলেনস্কির।
সোমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা করে ইউরোপীয় দেশগুলি৷ সেই সঙ্গে, দীর্ঘ ৩ বছর ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে ইতি টানার জন্য রুশ সেনা প্রত্যাহারের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। এই নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়৷ ইউরোপীয় শরিকি দেশগুলির সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধি৷ সেই সঙ্গে, ভোট দান থেকেও বিরত থাকে আমেরিকা৷
Advertisement
এর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর ঘটনায় ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘে কড়া সুরে রাশিয়ার সমালোচনা করেছিল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে ইউক্রেনকে অস্ত্র যুগিয়ে গিয়েছিল তৎকালীন বাইডেন সরকার। আমেরিকার সাহায্যেই এত বছর ধরে রাশিয়ার সেনাকে ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হন জেলেনস্কি। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। যুদ্ধ থামাতে তৎপর হয়েছেন তিনি। এমনকি জেলেনস্কিকে অযোগ্য, একনায়ক বলে তোপ দেগেছেন।
Advertisement
এহেন পরিস্থিতির মাঝেই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়ে এবং রাশিয়ার দখল করে রাখা জমি ফেরতের দাবিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ইউক্রেন। এই প্রস্তাবের ভোটাভুটিতেই ভিন্ন রূপে দেখা গেল আমেরিকাকে। ইউক্রেনের পেশ করা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিল ওয়াশিংটন। ইউক্রেন ও ইউরোপিয় দেশগুলির পেশ করা এই রেজোলিউশনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৩টি, বিপক্ষে অর্থাৎ রাশিয়াকে সমর্থন করে ভোট দিয়েছে ১৮টি দেশ। ৬৫টি দেশ ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল। তার মধ্যে রয়েছে ভারত ও চিনও।
Advertisement



