কর্মক্ষেত্রে ও পড়ুয়াদের জন্য আপাতত ভিসা বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু ট্রাম্প সরকারের

করােনাভাইরাস ও লকডাউনের প্রভাব পড়েছে গােটা দুনিয়ায়। আমেরিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় কর্মসূত্রে ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।

Written by SNS Washington | May 10, 2020 8:39 pm

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (Photo: AFP)

করােনাভাইরাস ও লকডাউনের প্রভাব পড়েছে গােটা দুনিয়ায়। আমেরিকাও তার ব্যতিক্রম নয়। বেকারত্বের সমস্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় কর্মসূত্রে ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেইসঙ্গে পড়ুয়াদের জন্যও ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আমেরিকায় কাজের জন্য অন্য দেশের নাগরিকদের এইচ ১বি-এর মতাে ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসার মাধ্যমে ভারত, চিনের মতাে দেশ থেকে কর্মীদের নিজেদের কোম্পানিতে কাজের সুযােগ দিতে পারে মার্কিন কোম্পানিগুলি। এই মুহুর্তে আমেরিকাতে এই ভিসা নিয়ে প্রায় লক্ষ মানুষ রয়েছেন।

শুক্রবার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে জানানাে হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ডােনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজররা এই বিষয়ে কাজ করেছেন। এই মাসের মধ্যেই একটা সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌঁছবেন। যতদুর মনে করা হচ্ছে, আপাতত এই ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত প্রধানত এইচ১ বি ও এইচ২ বি ভিসার উপর নেওয়া হবে। এছাড়া ছাত্র ভিসার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, গত দু’মাসে করােনার প্রভাবে আমেরিকায় অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি মার্কিন নাগরিক কাজ হারিয়েছেন। আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক আমেরিকার অর্থনৈতিক গ্রোথ রেট নেতিবাচক দেখিয়েছে। হােয়াইট হাউসের এক আধিকারিকও জানিয়েছে, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আমেরিকার অর্থনৈতিক গ্রোথ রেট মাইনাস ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে।

সুত্রের খবর, আমেরিকায় কোরত্বের হার ১৪.৭ শতাংশে পৌঁছেছে এপ্রিল মাসে। এই হার আমেরিকার ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের জন্যই নিজেদের বিদেশনীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে ট্রাম্প সরকার। গত মাসেই একটি নির্দেশ জারি করে প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছে, এই মুহুর্তে অন্তত দু’মাস আমেরিকায় কোনও ইমিগ্রেশন কার্যকর হবে না।

হােয়াইট হাউসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সময় সরকারের প্রধান লক্ষ্য দেশের অর্থনীতিকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। তার জন্য সবার আগে এই দেশের মানুষের কাজের সংস্থান করতে হবে। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন বাইরে থেকে কাজের সুত্রে আসা মানুষের সংখ্যা কমবে। সব কোম্পানিগুলিকে জানানাে হবে, দেশীয় কর্মীদেরই কাজের সুযােগ দিতে। এই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্যই এই ভিসার ক্ষেত্রে বদল আনতে চলেছে ট্রাম্প সরকার।