অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব ভারতে ‘আরও বেশি পড়বে’ জানালেন আইএমএফ প্রধান

বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রভাব ভারতে আরও বেশি পড়বে, হুঁশিয়ারি আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভার।

Written by SNS New Delhi | October 10, 2019 12:56 pm

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। (Photo: World Bank/IANS)

বিশ্বব্যাপী মন্দার প্রভাব ভারতে আরও বেশি পড়বে, হুঁশিয়ারি আইএমএফ প্রধানের। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ২ বছর আগে সুসংহত বৃদ্ধি হচ্ছিল বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এই বছর ধীর অর্থনীতির শিকার হবেন, বলেন জর্জিভা। ভারতীয় অর্থনীতিতে আরও বড় আশঙ্কার কথা শােনালেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা নির্দেশক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।

বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি যেমন “সমানুপাতিক হারে মন্দা” (গ্লোবাল ইকোনমিক স্লোডাউন) দেখছে, তাতে ভারতের মতাে কিছু বৃহত্তম উদীয়মান বাজার অর্থনীতিতে এ বছর এর প্রভাব “আরও স্পষ্ট হয়েছে” বলে জানিয়েছেন নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ওই নির্দেশক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা।

নতুন আইএমএফ প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি “সর্বনিম্ন হার”এ চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি এই হুঁশিয়ারিও দেন যে, ভারত সহ বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ধীরে ধীরে মন্দার মুখােমুখি হবে।

“দুই বছর আগে, বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সুসংহত ঊর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছিল। ডিজিপি পরিমাপ করে দেখা যায় যে, বিশ্বের প্রায় ৭৫ শতাংশ অর্থনীতি গতি বাড়িয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতি আবার সমানুপাতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে চলেছে। ২০১৯ সালে, ভারত সহ বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ মনগাপ মুখােমুখি হবে বলে আশঙ্কা করছি,” আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে তার প্রথম ভাষণে এমন সতর্কবার্তাই দিলেন জর্জিভা।

“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং জার্মানিতে বেকারত্ব ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন থাকলেও আমেরিকা, জাপান এবং বিশেষত ইউরাে অঞ্চল সহ উন্নত অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ক্রমশই নিম্নমুখী হচ্ছে। কয়েকটি বৃহত্তম উদীয়মান বাজার অর্থনীতিতে যেমন, ভারত ও ব্রাজিলের হিসাবে এই বছর মন্দা আরও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা থাকছে” বলেন তিনি। আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন যে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বৃদ্ধি “প্রায় স্থবির” অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

চলতি মাসে ক্রিস্টিন লেগার্ডের কাছ থেকে আইএমএফের দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্রিস্টিলিনা জর্জিভা বলেন যে, সমস্ত দেশের মুদ্রাগুলি আবারও স্পটলাইটে রয়েছে এবং এখন একাধিক দেশের মধ্যে বিরােধ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলিই এর কারণ।

জর্জিভা বলেন, “২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকলেও, দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে সাধারণত শুল্ক ও পাল্টা শুল্কের মাধ্যমে যে লড়াই চলছে তার জেরেই এই অর্থনৈতিক মন্দা”। বিশ্বের সমস্ত প্রধান দেশগুলিকে একত্র হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন যে, “সবাই বাণিজ্য যুদ্ধে হেরে গেছে”।