• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

উত্তরাখণ্ডে দাবানলে ভস্মীভূত ৬৫০ হেক্টর বনাঞ্চল

দেরাদুন, ২৬ এপ্রিল: ফের দাবানলের কবলে উত্তরাখন্ড। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৫৫০টি বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরফলে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ৬৫০ হেক্টরের বেশি জমি গ্রাস করেছে বনের ভয়াবহ দাবানলে। অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাণহানি বা সরকারি সম্পত্তির কোনো ক্ষতি না হলেও প্রায় ১৫ লাখ বনজ সম্পদ নষ্ট হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও

দেরাদুন, ২৬ এপ্রিল: ফের দাবানলের কবলে উত্তরাখন্ড। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৫৫০টি বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরফলে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তরাখণ্ডের ৬৫০ হেক্টরের বেশি জমি গ্রাস করেছে বনের ভয়াবহ দাবানলে। অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাণহানি বা সরকারি সম্পত্তির কোনো ক্ষতি না হলেও প্রায় ১৫ লাখ বনজ সম্পদ নষ্ট হয়েছে।

তবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। বনদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, পারদের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হল, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ১০ হেক্টরেরও কম বনভূমি দাবানলের কবলে পড়ে। এখন প্রতি ঘণ্টায় দাবানল বাড়ছে। রাজ্য বন কর্মকর্তারা সংকট মোকাবেলায় অজ্ঞ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই তা মোকাবেলা করার জন্য বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।

জানা গিয়েছে, কুমায়ুন অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক বনাঞ্চল ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। যা ৩৭০ হেক্টরেরও বেশি। অন্যদিকে গাড়োয়ালে প্রায় ২৩৪ হেক্টর বন ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বনাঞ্চলের প্রায় ৫২ হেক্টর জমি বন্যপ্রাণী অধ্যুষিত অঞ্চল। বন দপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ২০১৬ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। যখন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে বিবৃতি দিতে হয়েছিল। সেই সময়ের চেয়ে আরও খারাপ পরিস্থিতি এবার সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, “২০১৬ সালের উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে বনের আগুন এতটাই ব্যাপক ছিল যে, হেলিকপ্টারগুলিকে ওপর থেকে জল ছড়াতে হয়েছিল৷ তবুও বিষয়টা খুব একটা কাজে আসেনি। সমস্ত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছিল। যার ফলে বিশাল বন সম্পদ, জনসাধারণের সম্পত্তি এবং বেশ কিছু মানুষ ও বন্য প্রাণীর ক্ষতি হয়েছিল। আমাদের আরও দ্রুত কাজ করতে হবে।”

আলোচ্য বিষয় হল, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বন বিভাগ নিছক ‘ঝাপ’ পদ্ধতির (ম্যানুয়ালি আগুন নেভানো) ওপর নির্ভরশীল। এগুলি ছাড়াও, স্থানীয় কর্মকর্তারা জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন। এবং বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন।

এদিকে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী, তাঁর দপ্তরের আধিকারিকদের বনের দাবানল প্রশমিত করার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী মানুষের কর্মকাণ্ডের ওপর কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি দ্রুত সংকট মোকাবেলায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাধা রাতুরিও সেই নির্দেশ কার্যকর করার চেষ্টা করছেন।

ইতিমধ্যে বনের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আর কে সুধাংশু জানিয়েছেন, “জঙ্গলে আগুন জ্বালানো দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বনে আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে।”