• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বাংলা ও উত্তরাখণ্ডের খেলা অমীমাংসিতের পথে

শুরুতেই দেবেন্দ্র বোরার বলে বোল্ড আউট হন সুমন্ত গুপ্ত। এরপর আকাশ দীপ এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাংলার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটে শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে গতদিনে ৬১ রানে এগিয়ে থেকেও বড় অঙ্কের লিড নেওয়া সম্ভবপর হল না বাংলা দলের। প্রথম সেশনেই বাংলা দল আশা করেছিল, হয়তো ১৫০ রানে এগিয়ে থাকবে। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হল না। অপরাজিত ব্যাটসম্যান সুমন্ত গুপ্ত ৮২ রান নিয়ে মাঠে নামলে, তিনি আর ওই রানের সঙ্গেকোনও অঙ্ক যোগ না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। বাংলার প্রথম ইনিংস ৩২৩ রানে শেষ হয়ে যায়। উত্তরাখণ্ড ১১০ রানে পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করে। তৃতীয় দিনের শেষে তারা ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করেছে। বর্তমানে তারা ৫৫ রানে এগিয়ে রয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই, বাংলা আরও বেশি রানে যদি এগিয়ে থাকতে পারত, তাহলে উত্তরাখণ্ড বেশ চাপের মধ্যে থাকত। কিন্তু তার পরিবর্তে উত্তরাখণ্ড এখন বাংলাকে বেশ চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।

৬ উইকেটে ২৭৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলা। শুরুতেই দেবেন্দ্র বোরার বলে বোল্ড আউট হন সুমন্ত গুপ্ত। এরপর আকাশ দীপ এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল বাংলার ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ফের বাংলা শিবিরে আঘাত হানতে থাকেন দেবেন্দ্র। ১৯ রানে ফেরান আকাশদীপকে। এরপর মহম্মদ শামি মাঠে এলে, তিনিও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। শামি আউট হন ১০ রানে। শেষে নেমে ঈশান পোড়েলও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ২০ রানে অপরাজিত থাকেন সুরজ। উত্তরাখণ্ডের হয়ে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নেন দেবেন্দ্র বোরা।

Advertisement

১১০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলার সুযোগ ছিল উত্তরাখণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামানো। যেখানে মহম্মদ শামি, আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল, সুরজ সিন্ধুদের মতো বোলাররা রয়েছেন। শুরুটাও দুর্দান্ত করল বাংলা। ১.২ ওভারে উত্তরাখণ্ড ওপেনার অবনীশ সুধাকে ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরান আকাশ দীপ। কিন্তু তারপর কার্যত উইকেটে থিতু হয়ে যান প্রশান্ত চোপড়া এবং কুণাল চান্ডেলা। বাংলার বোলাররাও তাঁদের সামনে কার্যত নির্বিষ হয়ে যান।

Advertisement

প্রশান্ত এবং কুণালের কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না। উইকেটে অনেকটা সময় নিয়ে দেখেশুনে খেলছিলেন দুই ব্যাটসম্যান। সেট হয়ে যাওয়া প্রশান্তকে ৮২ রানে ফেরালেন সুনীল ভাটি। ততক্ষণে উত্তরাখণ্ডের রান ১৪৭। প্রশান্তর ১৬৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি চার দিয়ে। অন্যদিকে, ২০৩ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকলেন কুণাল।

বাংলার হয়ে আকাশ দীপ ও বিশাল সুনীল ভাটি ১টি করে উইকেট নিলেও উইকেটহীন থাকলেন শামি। অত্যন্ত কৃপণ ছিলেন তিনি। ১৫ ওভারে দিলেন মাত্র ২১ রান। কিন্তু কোনও উইকেট তুলতে পারলেন না। উইকেট পেলেন না ঈশান এবং সুরজও। তাহলে কি ইডেনের উইকেট সহজ হয়ে গিয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ম্যাচ ড্র হওয়া ছাড়া কোনও পথ নেই।

যদি বড় অঘটন ঘটে, তাহলে বাংলার জয় আসবে। ড্র হলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে ৩ পয়েন্ট আসবে বাংলার ঘরে।

Advertisement