ইউক্রেনের ‘ড্রোন’ হামলার যোগ্য জবাব দিতে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে নিপ্রো শহরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। এমনকি ইউক্রেনের ডনেৎস্ক প্রদেশের জোরিয়া গ্রাম দখল করে নিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী। এব্যাপারে রবিবার একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। সেই বিবৃতিতে রুশ সেনাবাহিনীর তরফে এই সাফল্যের দাবি করা হয়েছে।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খারকিভে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের পূর্ব প্রান্তের খারকিভে পর পর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছিল। খারকিভে রুশ হানায় অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২২ জন। এ বার রাশিয়ার নজরে ইউক্রেনের নিপ্রোপেট্রোভস্ক প্রদেশ। এই প্রদেশ ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বলেও পরিচিত। ইউক্রেনের চতুর্থ বৃহত্তম শহর নিপ্রো এখানেই অবস্থিত।
যদিও ইউক্রেনের স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, রুশ বাহিনীর হামলায় খারকিভের বসতি অঞ্চলের পাশাপাশি স্কুল ও অন্যান্য কিছু ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এব্যাপারে ইউক্রেনের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া শুক্রবার রাত থেকে ২০৬টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের উপর। কিভের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, দু’টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ মোট ন’টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। ইউক্রেন সেনা ৮৭টি রুশ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন গত রবিবারই রাশিয়ার একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। ইউক্রেনের সেই সব ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাখা বেশ কিছু রুশ বোমারু বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুর অঞ্চলের মোট পাঁচটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে এই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। রাশিয়া সরাসরি স্বীকার না করলেও ওই হামলায় ৪০টিরও বেশি রুশ যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইউক্রেন অবশ্য দাবি করেছে, তাদের ড্রোন হানায় ১১টি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে।
এরপরই রাশিয়া জানিয়ে দেয়, তারা সঠিক সময়ে ইউক্রেনকে জবাব দেবে। এর পর শুক্রবারই ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ড্রোনহানা চালায় রুশ সেনা বাহিনী। শনিবার হামলা চলে ইউক্রেনের অপর গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভে।