করোনার জেরে তেলের উৎপাদন কমাতে চলেছে ওপেক দেশগুলি

খনিজ তেলের উৎপাদন দশ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক।

Written by SNS Abu Dhabi | April 14, 2020 8:10 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: IANS)

খনিজ তেলের উৎপাদন দশ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক (অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন চলার জেরে বন্ধ রয়েছে বাণিজ্যিক পরিবহণ পরিষেবা। তার জেরে কমেছে তেলের চাহিদা। এই অবস্থায় ওপেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে বৈঠক হয়। তাতেই এই সিদ্ধান্ত।

ওপেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হয়। ওপেকের সহায়ক সবকটি দেশ ও জি ২০ ভুক্ত দেশগুলির মন্ত্রীদের মধ্যে টানা এক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলতে থাকে। তার পরে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়।

এতদিন ধরে রাশিয়া ও সৌদি আরব কিছুতেই মতৈক্যে পৌঁছতে পারছিল না। তারা উভয়ে অনড় ছিল নিজেদের অবস্থানে। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ায় তেলের চাহিদা অনেকটাই কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমানো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল ওপেক।

গত সপ্তাহে মেক্সিকো বেঁকে বসায় উৎপাদন কমানোর বিষয়ে কথা এগনও যাচ্ছিল না তবে পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সিটিগ্রুপ আইএনসির কমোডিটি সংক্রান্ত গবেষণার প্রধান তথা আন্তর্জাতিক খনিজ তেল বিশেষজ্ঞ এড মোর্স বলেন, অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত।

তিনি বলেন, আগে কখনও উৎপাদন কমানো নিয়ে এই ধরনের বৈঠক হয়নি। সৌদি আরব ও রাশিয়াকে বোঝাতে বড় ভূমিকা পালন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রত্যেক দিন ৯৭ লক্ষ ব্যারেল কম উৎপাদনে রাজি হয়েছে ওপেক যদিও প্রথম দিকে প্রস্তাব ছিল ১ কোটি ব্যারেল উৎপাদন কমানো হবে।

সম্প্রতি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২০ মার্কিন ডলার কমে গিয়েছিল যা গত গত দু’দশকের মধ্যে দেখা যায়নি। ওপেকের মধ্যে না থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রাজিল ৩৭ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। তাদের উৎপাদনও কমেছে। জি ২০ ভুক্ত দেশগুলি ১৩ লক্ষ ডলার উৎপাদন করে। তাদের দামের উপরেও প্রভাব পড়বে।