ভারতীয় সময় শনিবার দুপুরে যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে আরও তিন বন্দিকে মুক্তি দিল প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। যাঁদের মুক্ত করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক আমেরিকান-ইজরায়েলি নাগরিক। ফরাসি-ইজরায়েলি নাগরিকও মুক্তিপ্রাপকদের তালিকায় আছেন।
যে তিন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন কেইথ সেইগল, ওফের কালডেরন এবং ইয়ারডেন বিবাস। ওফের, ইজরায়েল এবং ফ্রান্স— দু’দেশেরই নাগরিকত্ব ভোগ করেন। আমেরিকান-ইজরায়েলি নাগরিক কেইথের মতো ইয়ারডেনও হামাসের হাতে ১৫ মাস বন্দি থাকার পরে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইয়ারডেনের সঙ্গে তাঁর দুই সন্তানকে বন্দি করেছিল হামাস। তাদের এক জনের বয়স ছিল ন’মাস এবং অপর জনের বয়স চার বছর। ইয়ারডেনের স্ত্রী সিরিও পণবন্দি হয়েছিলেন। তবে এখনও তাঁরা কেউ বেঁচে নেই। হামাসের দাবি, ইজরায়েলি বিমান হামলায় তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
খবর অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল হামাস। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১২০০ জনের। ২৫০ জনকে পণবন্দি করা হয়। এর পরেই গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। মৃত্যু হয় অন্তত ৪৭ হাজার প্যালেস্টাইনির। তার পর থেকে দু’পক্ষই হামলা, পাল্টা হামলা চালিয়েছে।