অবশেষে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুললেন মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি তিনি জাপানের একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষের দিকে দেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওই সংবাদ সংস্থাকে তিনি এটাও জানিয়েছেন, যখন নির্বাচন হবে, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখন তারা কাজের জন্য দেশে একটি ‘নিরাপদ ও দৃঢ়’ ভিত্তি পাবে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার দল বিএনপি দীর্ঘ দিন ধরে পরবর্তী নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দাবি তুলে আসছে। এজন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এব্যাপারে খালেদার পুত্র তথা দলে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থা যদি ঠিক করতে না পারি, তবে দেশের কোনও কিছুরই সমাধান হবে না। ঝড়, তুফান, বন্যা, খরা, বৃষ্টি, যা-ই হোক না কেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে আমরা তাঁদের প্রতিহত করব।’
এব্যাপারে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, গত বুধবার জাপানের ওই সংবাদ সংস্থাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। এনএইচকে নামের ওই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, কী ভাবে তিনি বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ যাতে স্বনির্ভর, শক্তিশালী হয়, সেটাই নিশ্চিত করতে চায় তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটি ছিল পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা—সব কিছুই বিধ্বস্ত।’
যদিও ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নেতৃত্ব এ ক্ষেত্রে ইউনূসকে ‘প্রয়োজনীয় সময়’ দিতে চাইছেন। এই নিয়ে বিএনপি-র সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে। সব জল্পনা উড়িয়ে অবশেষে ইউনূস তাঁর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।