• facebook
  • twitter
Wednesday, 21 May, 2025

রুফটপ রেস্তোরাঁ ভাঙার ক্ষেত্রে মৌখিক স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিদর্শনের পর ম্যাগমা হাউজের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভাঙার কাজ শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা।

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।

ম্যাগমা হাউজের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভাঙার ক্ষেত্রে মৌখিক স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিদর্শনের পর ম্যাগমা হাউজের রুফটপ রেস্তোরাঁ ভাঙার কাজ শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা। এদিকে ম্যাগমা হাউজের রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের কাছে বৈধ কাগজপত্র এবং লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে পুরসভা রেস্তোরাঁ ভেঙে দিচ্ছে। তাঁরা এই মর্মে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সোমবার বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন। এই সময়কালে রেস্তোরাঁ ভাঙার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই পার্ক স্ট্রিটে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে একসঙ্গে অনেকগুলি গ্যাস সিলিন্ডার পর পর রাখা দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের কথা বলেন। সেই মতো নগরপাল মনোজ ভার্মা, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু তড়িঘড়ি বৈঠকে করেছিলেন। তারপরই ম্যাগমা হাউজকে বেআইনি নির্মাণ বলে নোটিশ পাঠিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করে কলকাতা পুরসভা। অনুমতি থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে পুরসভা শহরের বিভিন্ন রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিয়েছে এই দাবি তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার আর্জি জানিয়েছিলেন ম্যাগমা হাউজের রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। সোমবার দুপুরে এই মামলার শুনানি হয়।

এদিন মামলাকারীর আইনজীবীর পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, পুরসভা কোনও রুফটপ রেস্তোরাঁ রাখবে না এই নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করতেই পারে। কিন্তু হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন আর তড়িঘড়ি পুরসভা ভাঙার কাজ শুরু করল এমনটা হতে পারে না। এক্ষেত্রে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তারপরও কোনও সময় না দিয়ে রেস্তোরাঁ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আগস্ট পর্যন্ত ফায়ার লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স আপডেট থাকার পরও কেন ভেঙে দেওয়া হল সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জিনিসপত্র যথাযথভাবে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় চেয়েছে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা আরও দাবি করেছে, কলকাতা পুরসভার ৪০১ ধারায় নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য কলকাতা পুরসভার ৪০৮ ধারায় নোটিশ দিতে হয়। মামলাকারীর আইনজীবী আদালতের কাছে অন্তর্বর্তী নির্দেশের আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর আদালত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। এই দিন পর্যন্ত রেস্তোরাঁ ভাঙা যাবে না।