• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ট্রাম্প ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপানোর পর ব্যাখ্যা দিল বেজিং

চিন জানিয়েছে, রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ মানেই নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং এটি একটি দায়িত্বশীল পদক্ষেপ, যা আন্তর্জাতিক নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

চিনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে চিন জানিয়েছে, রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ মানেই নিষেধাজ্ঞা নয়। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি চিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, তারা বিরল খনিজ ও সংশ্লিষ্ট কিছু পণ্যের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আনতে চলেছে। এই ঘোষণার পরই ট্রাম্প চিনা পণ্যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। ফলে বর্তমানে চিন থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের উপর মোট শুল্কের হার দাঁড়াচ্ছে ১৩০ শতাংশ। এই শুল্ক কার্যকর হবে ১ নভেম্বর থেকে।

Advertisement

চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ কোনও নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালন এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখা। তিনি বলেন, ‘যেসব সংস্থা বা দেশ অসামরিক কাজে এই খনিজ ব্যবহার করতে চায়, তারা যথাযথ আবেদন করলে রপ্তানির লাইসেন্স পাবে। এর ফলে বৈধ বাণিজ্যে কোনও বাধা সৃষ্টি হবে না।’

Advertisement

চিন আরও জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে অন্যান্য দেশকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রপ্তানি নীতিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় আগ্রহী বিশ্ববাজারে বিরল খনিজের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সামরিক সরঞ্জাম সহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এর প্রয়োজন পড়ে। এই খনিজের অন্যতম বড় উৎস হচ্ছে চিন। ফলে চিনের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

চিন বলছে, তারা একটি দায়িত্বশীল দেশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নীতি নিতে চলেছে। সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বিচার-বিবেচনার ভিত্তিতে, যাতে গোটা বিশ্বে স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে চিন-আমেরিকা বাণিজ্য সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলবে। তবে বর্তমান ঘোষণায় বাণিজ্য উত্তেজনার পারদ যে ফের চড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement