শুল্ক সংঘাত মেটাতে আমেরিকার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে চিন। শনিবার বেজিং জানিয়েছে, দ্রুত শুল্ক সমস্যা নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর চিনা পণ্যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। বিরল ধাতু রপ্তানির ক্ষেত্রে চিন কড়াকড়ি আরোপের পরেই তিনি কড়া সিদ্ধান্ত নেন। ১ নভেম্বর থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তারপর থেকে অবশ্য শুক্ল সমস্যা মেটাতে দু’পক্ষই নরমে-গরমে একে অপরকে বার্তা দিচ্ছিল। চিনা পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিয়ে শুক্রবারই সুর বেশ খানিকটা নরম করেছিলেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি চিনের উপপ্রধানমন্ত্রী হি লিফেং শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্যসচিব স্কট বেসেন্টের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে আলোচনা করেন। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছিল, ‘বিস্তারিত ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’ ফলে এটা বোঝাই যাচ্ছিল যে দু’পক্ষের সমস্যা মিটতে চলেছে।
Advertisement
এই পরিস্থিতিতে শুল্ক সমস্যার সমাধানে ট্রাম্প চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের বার্তাও দিয়েছিলেন। তারপরেই বৈঠকের বার্তা এল বেজিং থেকে। দিন কয়েক আগে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘চিনকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। গোটা চিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ুক, এটা উনি (শি জিংপিং) চান না, আমিও চাই না। আমেরিকা তো চিনকে সাহায্যই করতে চায়, আঘাত করতে নয়!’
Advertisement
আর শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শুল্কের পরিমাণ যত বেশিই হোক না কেন, তা দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমস্যার সামাধান করে না। আমি চিনের উপর শুল্ক আরোপ করতে চাইনি। কিন্তু বেজিং আমাকে সেই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে।’ বলাই বাহুল্য, ট্রাম্প নমনীয় হতেই চিনও সহযোগিতার বার্তা দিল। ফলে দু’পক্ষের সমস্যা যে কিছুটা হলেও মিটতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Advertisement



