• facebook
  • twitter
Friday, 21 March, 2025

বাঙ্কারে দেড় কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিরাপ

সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বাঙ্কারে থাকতে পারে গোলাবারুদ

নিজস্ব চিত্র

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার আমবাগানে একটি বাঙ্কারের হদিস পেয়েছিল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সন্দেহ করা হচ্ছিল, সেই বাঙ্কারে থাকতে পারে গোলাবারুদ। জমিটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। কিন্তু বহু খোঁজ করেও বাগানের মালিককে পাওয়া যায়নি। এরপর বাগানটির প্রায় দু’বিঘা জমি ঘিরে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি শেষ হয় শনিবার বিকেলে। রাতভর তল্লাশির পর চক্ষু চড়কগাছ বিএসএফের। সেই আমবাগানে পাওয়া যায় আরও চারটি বাঙ্কার। চারটি বাঙ্কারই লোহার তৈরি। সেখানা গোলাবারুদ পাওয়া না গেলেও উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। উদ্ধার হয়েছে ৬২,২০০টি নিষিদ্ধ কাশির সিরাপের বোতল। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মাটি খুঁড়ে ইটের গাঁথনি, তার ওপর টিনের দেওয়াল এবং ভেতরে তৈরি করা হয় লোহার বাঙ্কার চারটি। কোনওটা মাটির নীচে তো কোনওটা আমবাগানের নীচে। লোকচক্ষু এড়াতেই আমবাগান এলাকা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএসএফ মনে করছে, সীমান্তের চোরাচালান চক্রের একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা আটকে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। জড়িতদের খোঁজ চলছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সূত্র মারফত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কাছে খবর আসে রানাঘাট পুলিশ জেলার মাজদিয়া থানা এলাকার নাগাটা সীমান্ত এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল মজুত করে রাখা আছে। আর তারপরই এই তল্লাশি অভিযান।

দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের ডিআইজি (জনসংযোগ) নীলোৎপল পাণ্ডে বলেন, “সীমান্ত জুড়ে পাচার চক্রের একটি বড় নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের অন্যতম সাফল্য এটি। বিএসএফ সূত্রের খবর, জমির মালিক থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য, সকলকে জেরা করা হবে।”

উল্লেখ্য, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপ্‌স অ্যালার্ট’ জারি করেছে বিএসএফ। অপরদিকে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মহড়া চালানো হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।