শুত্রবার লাদাখ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি গালওয়ান উপত্যকায় চিন সীমান্তে সঙঘর্ষে জখম সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন।
সেনাবাহিনী সূত্রে বলা হচ্ছে সীমান্তে উত্তেজনা যদি সত্যিই কমে তাহলে তা ধাপে ধাপে কমবে। সমঝোতা অনুযায়ী চিন সত্যিই কোনও পদক্ষেপ করছে কিনা তা দেখা হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছে, ভারতের কুড়ি জওয়ান নিহত হলে চিনের তার দ্বিগুণ সেনা জওয়ান খতম হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, গোগরার হট স্প্রিং এলাকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট আট থেকে চার পর্যন্ত কংক্রিটের বাঙ্কার বানিয়ে বসে রয়েছে চিন সেনা।
জুন মাসের শেষ রবিবার প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে মোদির বক্তব্যে চিনা হামলাকারীদের আক্রমণের সূত্র ধরে মুখ্য হয়ে উঠেছিল আমজনতার আস্থা অর্জন।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্টে ১৪-এ ফের ঘাঁটি গেড়েছে চিন। এর ফলে ভারতীয় সেনার টহলদারিতে বাধা তৈরি হয়েছে।
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের অপদার্থতায় দেশের সীমান্ত অঞ্চল ও সামগ্রিকভাবে দেশ এক সংকটের মুখোমুখি। এদিন কংগ্রেসের এক বৈঠক শেষে সোনিয়া গান্ধি একথা বলেন।
ভারত-চিনের সেনা পর্যায়ের বৈঠকে দ্বন্দ্বের জায়গাগুলি থেকে বেরিয়ে আসার ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে সেনা সুত্রে জানানো হয়েছে।
ভারতের পক্ষে ১০০ অফিসার-জওয়ান ছিলেন। চিন জড়ো করেছিল প্রায় ৩৫০ সেনা। সংঘর্ষ স্থায়ী হয়েছিল ঘণ্টাতিনেক। ভারত-চিন সংঘর্ষে বিহার রেজিমেন্টের এক কর্নেলের মৃত্যু হয়।
শুধু বিরোধীরা নন, ভারতের প্রাক্তন সামরিক কর্তারাও গালওয়ান'এ চিন-ভারত সংঘাত নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।