করোনা মােকাবিলায় লকডাউনের জেরে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অতিক্ষুদ্র শিল্পসংস্থাগুলি।
কেন্দ্রের কুড়ি লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ আসলে অশ্বডিম্ব। কেন্দ্রের ঘােষণা আসলে বিগ জিরাে এই ভাষাতেই বুধবার মােদি সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৭ মে'র পর লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন ক্ষেত্রে কতটা ছাড় দেওয়া হবে তা এর মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন।
এখনও পর্যন্ত সরকারি তরফে কোনও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা না করায় অনিশ্চয়তা যে আরও ব্যাপক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন থেকে শুরু করে আগামী দুটো মাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই দু'মাসেই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যাবে, দেশের করোনা পরিস্থিতি কোথায় পৌছচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হটস্পটগুলি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। এজন্য লকডাউনের কড়াকড়ি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বজায় রাখার পক্ষপাতী প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৭। মৃতের সংখ্যা ২৫। গোটা দেশ লকডাউনের আওতায়। এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংকট মেটাতে একাধিক ব্যবস্থার পথে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও বৃহস্পতিবারই নতুন করে একজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার প্রেক্ষিতে লকডাউনের কারণে অসুবিধা দূর করতে কেন্দ্রীয় সরকার এক লক্ষ সত্তর হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করল।
করোনা ঠেকাতে বিভিন্ন মেডিকেল উপকরণ, করোনা কিট ইত্যাদির জন্য ১০৫ কোটি চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এই রাজ্যে মাত্র দু'টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।