রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে চালকের আসনে বিদর্ভ। এই প্রথম ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পায় কেরল। রবিবার এই প্রতিযোগিতার শেষ দিন। কোনওরকম অঘটন না ঘটলে বিদর্ভই চ্যাম্পিয়ন হবে, তা বলা যেতেই পারে। প্রথম ইনিংসে বিদর্ভের অরুণ নায়ার অল্পের জন্য শতরান না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করে আবার বুঝিয়ে দিলেন ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতায় পিছিয়ে নেই।
কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করেছিলেন করুণ। দ্বিতীয় ইনিংসে ধৈর্য দেখিয়ে ক্রিজ় কামড়ে পড়েছিলেন। তার ফলও পান। ১৮৪ বলে শতরান পূরণ করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান করলেও জাতীয় দলে ডাক পান না দীর্ঘ দিন।
Advertisement
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে না নেওয়া নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছে। শনিবার জলজ সাক্সেনার বল মিড উইকেটে ঠেলে এক রান নিয়ে শতরান পূরণ করেন করুণ। সঙ্গে সঙ্গে গোটা মাঠ এবং সাজঘর উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায় এই ক্রিকেটারকে। করুণ ব্যাট, হেলমেট মাটিতে রেখে দস্তানা খুলে ন’টি আঙুল দিয়ে বিশেষ মুদ্রা দেখাতে থাকেন।
Advertisement
ক্রিকেটমহলের ধারণা, চলতি মরসুমে ন’টি শতরান বোঝাতেই তিনি এই মুদ্রা দেখিয়েছেন। বিদর্ভ প্রথম ইনিংসে ৩৭৯ রান তুলেছিল। জবাবে কেরলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৪২ রানে। তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন করুণ এবং দানিশ মালেওয়ার। প্রথম ইনিংসেও এঁরা দু’জনেই বিদর্ভকে টেনে তুলেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। ১৮২ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। ৭৩ রানে দানিশ আউট হলেও শতরান করেন করুণ। দিনের শেষে তিনি ২৮০ বলে ১৩২ রানে অপরাজিত।
Advertisement



